প্রস্রাবে ইনফেকশনের কারণে শিশুরা কিডনি সমস্যায় ভোগে
প্রস্রাবে ইনফেকশনের কারণে নীরবেই ধীরে ধীরে কিডনি অকেজো হয়ে যায় শিশুদের। বিশেষ করে কন্যা শিশুর ক্ষেত্রে এ সমস্যা বেশি দেখা দেয়।
এজন্য শিশুদের ঘন ঘন জ্বর হলে প্রস্রাব পরীক্ষা করা জরুরি। জন্মগত এই ত্রুটি দ্রুত নির্ণয় ও চিকিৎসা শুরু করা গেলে শিশু কিডনি রোগ অনেকটা রোধ করা সম্ভব।
মঙ্গলবার (৫ ফেব্রুয়ারি) বিশ্ব কিডনি দিবস উপলক্ষে চট্টগ্রাম মেডিক্যাল কলেজ (চমেক) হাসপাতালের শিশু কিডনি বিভাগের উদ্যোগে আয়োজিত ‘প্রস্রাব ইনফেকশন স্কিনিং’ শীর্ষক অনুষ্ঠানে শিশু কিডনি বিশেষজ্ঞরা এসব কথা বলেন।
নগরের রৌফবাদে ছোটমনি নিবাস ও সরকারি শিশু পরিবারের (বালিকা) আবাসিকে এ আয়োজন করে চমেক হাসপাতালের শিশু কিডনি বিভাগ।
এ সময় চিকিৎসকরা ছোটমনি নিবাসের শতাধিক কন্যাশিশুর তাৎক্ষণিক প্রস্রাব পরীক্ষা করেন। প্রাথমিকভাবে ইনফেকশন ধরা পড়া শিশুদের (পজিটিভ) নমুনা সংগ্রহ করে ল্যাবে পাঠানো হয়।
তা ছাড়া, উন্নতমানের খাবার আয়োজনে আর্থিক সহায়তাও দেওয়া হয়।
অনুষ্ঠানে চট্টগ্রাম মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের শিশু কিডনি বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ডা. মারূফ-উল-কাদের বলেন, ‘জন্মগত ত্রুটি হিসেবে শিশুদের প্রস্রাব ইনফেকশন হয়। সঠিক সময়ে পরীক্ষা-নিরীক্ষার মাধ্যমে চিকিৎসাসেবা শুরু করা না হলে নীরবে শিশুদের কিডনি ধীরে ধীরে অকেজো হয়ে পড়ে। ’
এ সময় উপস্থিত ছিলেন চমেক হাসপাতালের শিশু কিডনি বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ডা. সুস্মিতা বিশ্বাস, চট্টগ্রাম ছোটমনি নিবাসের উপ-তত্ত্বাবধায়ক তানজিনা আফরিন, সরকারি শিশু পরিবারের (বালিকা) উপ-তত্ত্বাবধায়ক তাসনিম আকতার, চমেক শিশু কিডনি বিভাগের জুনিয়র কনসালটেন্ট ডা. মো. মুরাদ চৌধুরী, সহকারী রেজিস্ট্রার ডা. শাম্মী আকতার, মেডিক্যাল অফিসার ডা. সৌরভ দেব বাপ্পী, শিশুস্বাস্থ্য বিভাগের ডা. সুপ্তা দাশ, ডা. মো. সাজ্জাত হোসাইন, ডা. মো. তৌহিদুল ইসলাম, ডা. নুসরাত আজমির আকতার ও ডা. অমিত দাশ।