চট্টগ্রামনগরজুড়ে

প্রাইভেট শেষে বাসায় ফেরার পথে শিশুকে ধর্ষণচেষ্টা, ২ যুবক গ্রেপ্তার

চট্টগ্রামে প্রাইভেট শেষে বাসায় যাওয়ার পথে বিভিন্ন প্রলোভন দেখিয়ে ৯ বছরের এক শিশুকে ধর্ষণ চেষ্টার অভিযোগে দুই যুবককে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।

বুধবার (১৫ নভেম্বর) সন্ধ্যায় নগরের বন্দর থানাধীন সল্টগোলা ক্রসিং মসজিদের মার্কেটের সামনে থেকে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়।

গ্রেপ্তাররা হলেন— মো. মোবারক (৩০) এবং মো. মিরাজ (৩৬)। এরমধ্যে মোবারক ফেনী জেলার দাগনভূঁইয়া লাতু মিয়ার মাজার বাড়ির মৃত আ. রাজ্জাকের ছেলে এবং মিরাজ ভোলা জেলার ভোলা সদরের রজব আলী সরদার বাড়ির শাহজাহান সরদারের ছেলে। তবে তারা দুইজনেই নগরের বন্দর থানাধানী সল্টগোলা ক্রসিং এলাকায় ভাড়া বাসায় থাকেন।

পুলিশ জানায়, ভুক্তভোগী শিশু স্থানীয় এক শিক্ষকের কাছে প্রাইভেট পড়তে যায়। পথে গ্রেপ্তার মোবারক ওই শিশুকে ডেকে কথা বলতো এবং কিছু কিনে খাওয়ার জন্য হাতে টাকা দিত। একইসঙ্গে আরেক আসামি মিরাজও ওই শিশুটির সঙ্গে কথা বলতো। গত ২৬ অক্টোবর ভুক্তভোগী শিশুটি প্রাইভেট শেষ করে সন্ধ্যার দিকে বাসায় এলে তার মন খারাপ দেখে পরিবার। একইসঙ্গে তার হাতে কিছু টাকাও দেখতে পান তারা। এসময় মা-বাবা টাকাগুলো তাকে কে দিয়েছে জিজ্ঞেস করলেও শিশুটি কোনো উত্তর দেয়নি।

পরেরদিন শিশুটির আরেক চাচাতো ভাই তার (শিশু) মাকে জানায় যে, দুইদিন আগে ওই শিশুকে একজন লোকের সঙ্গে সল্টগোলা ক্রসিং মসজিদ মার্কেট থেকে নিচে নামতে দেখেছে। সেই বিষয়ে পরিবার শিশুটির কাছ থেকে জানতে চাইলে তখন শিশুটি জানায়, গত ২০ অক্টোবর বিকেলে প্রাইভেট পড়ে বাসায় আসার পথে বিকেল ৫টার দিকে মোবারক তার হাতে টাকা দিয়ে তাকে ওই মার্কেটের বিল্ডিংয়ের ৩য় তলায় নিয়ে যায় এবং তার পরনের কাপড় খুলে খারাপ কাজ করার চেষ্টা করে। এসময় সে কান্না করলে কাউকে না বলার জন্য ভয়ভীতি দেখায়। পরে শিশুটির পরিবার তাদের শনাক্ত করতে বিভিন্নভাবে খোঁজাখুঁজি করে। এক পর্যায়ে গতকাল বুধবার (১৫ নভেম্বর) সন্ধ্যার দিকে আসামি মোবারক ও মিরাজকে শনাক্ত করে স্থানীয় লোকজনের সহযোগিতায় তাদের আটক করে তারা। পরে স্থানীয়রা পুলিশের কাছে সোপর্দ করে।

বন্দর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সঞ্জয় কুমার সিনহা জানান, এ ঘটনায় শিশুটির মা বন্দর থানায় আটক দুইজনের বিরুদ্ধে মামলা করেছেন। সেই মামলা তাদের দুইজনকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *