প্রাথমিকে চাহিদার ৮১ শতাংশ বই পৌঁছেছে চট্টগ্রামে
বছরের প্রথম দিনে নতুন বই হাতে উল্লাসে মেতে ওঠার অপেক্ষায় চট্টগ্রামের লাখো শিক্ষার্থী। কাগজ সংকটসহ নানা কারণে চলতি শিক্ষাবর্ষে নতুন বই পেতে কিছুটা বেগ পেতে হলেও এরমধ্যে চট্টগ্রামে প্রাথমিক স্তরের চাহিদার ৮১ শতাংশ বই এসে পৌঁছেছে। বাকি ৯ শতাংশও নভেম্বরের শেষ দিকে পৌঁছে যাবে বলে জানিয়েছে সংশ্লিষ্টরা। ডিসেম্বরের শুরুতেই স্কুলে স্কুলে পৌঁছে যাবে এসব বই।
জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসের তথ্যানুযায়ী, এ পর্যন্ত প্রাথমিক পর্যায়ে ৮১ শতাংশ বই পাওয়া গেছে। চট্টগ্রামের ৪ হাজার ৩৪৬টি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ১০ লাখ ৩৫ হাজার ৫৮৪ জন শিক্ষার্থী নতুন বই পাবে। এবার নতুন বইয়ের চাহিদা রয়েছে ৪৪ লাখ ৪৮ হাজার ৫৯০টি। যেখানে গতবার বইয়ের চাহিদা ছিল ৪৭ লাখ ৫২ হাজার ২৯৭টি। এরমধ্যে নতুন শিক্ষাবর্ষের বই এসেছে ৩৬ লাখ ৬ হাজার ১২২টি। অর্থাৎ মোট চাহিদার আরও ৯ শতাংশ বই এখনো আসেনি। তবে গতবারের চেয়ে এবার বইয়ের চাহিদা কমেছে প্রায় চার লাখ। যদিও এতো সংখ্যক বইয়ের চাহিদা কমার কারণ নিদির্ষ্ট করে জানাতে পারেনি কর্তৃপক্ষ।
এদিকে, চট্টগ্রামের ৬ থানা শিক্ষা অফিস ও সকল উপজেলাসহ প্রথম থেকে পঞ্চম শ্রেণি পর্যন্ত প্রাথমিকের শিক্ষার্থীর সংখ্যা ৮ লাখ ৯০ হাজার ৯৩৩ জন। আর প্রাক-প্রাথমিকের শিক্ষার্থীর সংখ্যা ১ লাখ ৪৪ হাজার ৬৫১ জন। এছাড়াও চট্টগ্রামের স্কুলগুলোতে ক্ষুদ্র জাতিগোষ্ঠীর শিক্ষার্থীদের মাতৃভাষায় লেখা বইয়ের চাহিদা রয়েছে ১ হাজার ৮১০টি। যা চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ড এবং নগরের পাঁচলাইশ থানা শিক্ষা অফিসের আওতাধীন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে দেওয়া হয়। ক্ষুদ্র জাতিগোষ্ঠীর চাকমা, মারমা, ত্রিপুরা এবং গারো সম্প্রদায়ের শিক্ষার্থীরা নিজেদের মাতৃভাষায় লেখা বই পেয়ে থাকে। এবছর চট্টগ্রামের সাগরিকা প্রিন্টার্স এবং দি মক্কা আল মুকারাম প্রিন্টার্স নামের দুটি ছাপাখানায় প্রাথমিকের বই ছাপানো হয়েছে।
জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসের সহকারী মনিটরিং অফিসার মোহাম্মদ নুর মোহাম্মদ সিভয়েসকে বলেন, ‘সাধারণত অক্টোবর থেকে বই আসা শুরু হয়। এবারও তার ব্যতিক্রম হয়নি। এখনো পর্যন্ত আমাদের চাহিদা মোতাবেক ৮১ শতাংশ বই এসেছে। চলতি মাসের মধ্যে বাকি বইগুলোও চলে আসবে। এরপরই নির্দেশনা মোতাবেক আমরা শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোতে বই বিতরণ শুরু করবো।’