ফটিকছড়িতে ইউপি সদস্যের উপর হামলা!
চট্টগ্রামের ফটিকছড়িতে ভ্রাম্যমাণ আদালতের অভিযানে সহযোগিতা করায় এক ইউপি সদস্যের উপর হামলার অভিযোগ উঠেছে। হামলার শিকার ওই ইউপি সদস্য হলেন উপজেলার হারুয়ালছড়ি ইউপির ২ নম্বর ওয়ার্ড সদস্য মো.দিদারুল আলম।
ফটিকছড়ি থানায় দায়েরকৃত অভিযোগের প্রেক্ষিতে তিনি বলেন, আমার এলাকায় উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা অভিযান করতে যাওয়ার সময় আমাকে ডেকে নিয়ে যান। এবং ইউএনও সাহেব অভিযানে গেলে সহযোগিতা করার জন্যেও বলেন আমাদের চেয়ারম্যান ইকবাল হোসেন চৌধুরী। ঘটনাস্থলে গেলে মাটি কাটার একটি স্কেভেটর পাওয়া যায়। পরে অভিযান পরিচালনা করে স্কেভেটরটি জব্দ করা হয়।
তিনি আরও বলেন, ‘অভিযান শেষ করে রাত ১টার পর আমি ফিরে আসার পথে মহানশাহ পাড়া মসজিদের সামনে ৪-৫জন যুবক আমাকে আটক করে মারধর এবং গালাগালি করে হুমকি দিতে থাকেন।’
উল্লেখ্য, হারুয়ালছড়িতে স্কেভেটরের সাহায্যে অবৈধভাবে নাল জমির মাটি (টপ সয়েল) কেটে পরিবেশের ভারসাম্য নষ্ট করা, পরিবহন করা ও জমির শ্রেণি পরিবর্তন করার অপরাধে রোববার দিনগত রাতে হারুয়ালছড়ির ২ নম্বর ওয়ার্ডের মহানশাহ পাড়ার সাবেক মেম্বার আব্দুল আজিজের বাড়ির পাশে কৃষি জমিতে এ অভিযান পরিচালনা করেন উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট মো. মোজাম্মেল হক চৌধুরী।
স্কেভেটর মালিক পক্ষের মো. রফিকুল আলমকে ৫০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়।
এ ব্যাপারে ইউএনও মো.মোজাম্মেল হক চৌধুরী বলেন, ‘স্কেভেটরের সাহায্যে অবৈধভাবে নাল জমির মাটি (টপ সয়েল) কেটে পরিবেশের ভারসাম্য নষ্ট করা, পরিবহন করা ও জমির শ্রেণি পরিবর্তন করার অপরাধে বালু মহাল ও মাটি ব্যবস্থাপনা আইন-২০১০ এর সংশ্লিষ্ট ধারায় অভিযোগ এনে মো. রফিকুল আলমকে এক ব্যক্তিকে ৫০ হাজার টাকা দণ্ড দেওয়া হয়। এছাড়াও ঘটনাস্থল থেকে মাটি খননের কাজে ব্যবহৃত একটি স্কেভেটর জব্দ করা হয়।
জনস্বার্থে এ ধরনের অভিযান অব্যাহত থাকবে বলে জানান তিনি।
ইউপি সদস্যের ব্যাপারে তিনি বলেন, ইউপি সদস্য দিদার থানায় অভিযোগ করেছেন। এ বিষয়ে থানা ব্যবস্থা নিবে। আমি মামলা নেওয়ার জন্য অফিসার ইনচার্জকে (ওসি) বলেছি।