চট্টগ্রাম

ফাঁকা হয়ে যাচ্ছে চট্টগ্রাম নগরী

আগামীকাল সোমবার পবিত্র ঈদুল আজহা। গত বৃহস্পতিবার ছিল ঈদের আগে শেষ সরকারি কর্মদিবস। তার একদিন আগে বন্ধ হয়ে যায় শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানও। তাই বৃহস্পতিবার থেকে পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে ঈদের আনন্দ ভাগাভাগি করতে নগর ছেড়েছেন অনেকেই। এতে ফাঁকা হতে শুরু করেছে নগরী। নগরীর রাস্তাঘাট অনেকটা ফাঁকা। সড়কে কমেছে যানবাহন।

স্ত্রী-সন্তান নিয়ে নগরীতে বাস করেন মোহাম্মদ সাইফুদ্দিন। চাকরির সুবাধে ছেলে-মেয়ে নিয়ে নগরীতেই থাকেন। কিন্তু গ্রামের বাড়িতে মা-বাবা থাকায় ঈদ আনন্দ ভাগাভাগি করতে পরিবার নিয়ে গ্রামে যান তিনি।

বাড়ি ফেরার বিষয়ে জানতে চাইলে মোহাম্মদ সাইফুদ্দিন বলেন, বাবা-মা গ্রামের বাড়িতে থাকেন। তাই প্রতিটি ঈদ মা-বাবার সঙ্গে গ্রামের বাড়িতে করার চেষ্টা থাকে। এবারও তার ব্যতিক্রম হয়নি। ছুটি শুরু হওয়ায় স্ত্রী, ছেলে-মেয়েকে নিয়ে শনিবার বিকেলে তিনি বাড়িতে ফিরে যান। যাওয়ার পথে বড় ধরনের কোনো ঝামেলায় পড়তে হয়নি। তবে কিছু কিছু জায়গায় সড়কের পাশে গরুর হাট বসায় যানজটে পড়তে হয়েছে।

শুধু মোহাম্মদ সাইফুদ্দিন নন, বৃহস্পতিবার থেকে ঈদের ছুটি শুরু হওয়ায় নাড়ির টানে এখন নগর ছেড়ে গ্রামে যাচ্ছেন তার মতো হাজার হাজার নগরবাসী। আর তাতে ফাঁকা হতে শুরু করেছে নগরী। এতে সড়কে কমেছে যানবাহন।

নগরীর বিভিন্ন সড়ক ঘুরে দেখা যায়, সড়কে স্বাভাবিক সময়ের চেয়ে অর্ধেকে নেমে এসেছে যানবাহন। তবে ভিড় বেড়েছে বাসস্টেশন, রেলস্টেশনে। গতকাল শনিবার (১৫ জুন) নগরীর বিভিন্ন বাসস্টেশন, রেলস্টেশনে গিয়ে দেখা যায়, সবখানে বাড়ি ফেরা মানুষের উপচে পড়া ভিড়। প্রিয়জনদের সঙ্গে ঈদ করতে সবাই ছুটছে বাড়ির পানে। যাত্রীর চাপ থাকায় এই সুযোগকে কাজে লাগিয়ে বাড়তি ভাড়া আদায় করার অভিযোগ উঠেছে বাস কাউন্টারগুলো বিরুদ্ধে।

যাত্রীদের অভিযোগ, স্বাভাবিক সময়ের চেয়ে এখন টিকিট প্রতি ৫০ থকে ১০০ টাকা। ক্ষেত্র বিশেষ তার চেয়েও বেশি ভাড়া আদায় করছেন বাস কাউন্টারগুলো। নগরীর নতুন ব্রিজ এলাকা, অলংকার মোড়, কদমতলি বাস স্টেশনগুলোতেও অতিরিক্ত ভাড়া নেওয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে। একই সুযোগ নিয়েছে সিএনজি ট্যাক্সিগুলোও। এসব গাড়িতেও অতিরিক্ত ভাড়া নিচ্ছেন ড্রাইভাররা। তবে বাড়তি ভাড়া নেওয়ার অভিযোগ অস্বীকার করেছেন বাস স্টেশনের কাউন্টারগুলো।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *