ফাইনালে নেই ভারতের বিশ্বকাপ স্কোয়াডের কেউ
জনপ্রিয় ফ্র্যাঞ্চাইজি টুর্নামেন্ট আইপিএলের সপ্তদশ আসর শেষ হতে চলেছে। আগামীকাল (রোববার) ফাইনাল দিয়ে টুর্নামেন্টটির পর্দা নামবে। দুর্দান্ত ফর্ম দেখিয়ে আগেই ফাইনাল নিশ্চিত করেছিল কলকাতা নাইট রাইডার্স। গতকাল রাজস্থান রয়্যালসকে হারিয়ে শিরোপা নির্ধারণী ম্যাচের টিকিট কেটেছে সানরাইজার্স হায়দরাবাদও। মজার বিষয় হলো– এবারের ফাইনালে ভারতের হয়ে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ খেলতে যাওয়া স্কোয়াডের কেউ নেই।
চেন্নাইয়ের চিপকে শুক্রবার রাতে আগে ব্যাট করে হায়দরাবাদ ১৭৫ রানের পুঁজি দাঁড় করায়। স্পিন আক্রমণের সামনে টিকতে না পেরে সেই রান তুলতে পারেনি সঞ্জু স্যামসনের রাজস্থান। টার্গেট তাড়ায় ৭ উইকেট হারিয়ে নির্ধারিত ওভারে তাদের ইনিংস ১৩৯ রানে থেমেছে। ফলে ৩৬ রানের জয়ে চিপকেই ফের ফাইনাল খেলতে নামবে প্যাট কামিন্সের হায়দরাবাদ।
রাজস্থানের বিদায়ে নিশ্চিত হয়ে গেল ভারতের বিশ্বকাপ স্কোয়াডে থাকা কোনো ক্রিকেটার ফাইনালে খেলবেন না। রাজস্থানের অধিনায়ক সঞ্জু স্যামসন ছাড়াও যশস্বী জয়সওয়াল এবং যুজবেন্দ্র চাহাল ছিলেন ভারতের টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের ১৫ সদস্যের দলে। এ ছাড়া ফাইনাল খেলতে যাওয়া কলকাতা-হায়দরাবাদের কেউ মূল স্কোয়াডে নেই। কলকাতার রিঙ্কু সিং আছেন বিশ্বকাপের রিজার্ভ ক্রিকেটার হিসেবে।
এর আগে বুধবার এলিমিনেটর ম্যাচে হেরে রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরু আইপিএল থেকে ছিটকে যায়। সেই দলে ছিলেন বিশ্বকাপ খেলতে যাওয়া বিরাট কোহলি এবং মোহাম্মদ সিরাজ, যারা ভারতের বিশ্বকাপ দলের গুরুত্বপূর্ণ সদস্য। কলকাতার অধিনায়ক শ্রেয়াস আইয়ার ফর্মে থাকলেও তার এই টুর্নামেন্টের দলে জায়গা মেলেনি। তবে ভারতের কেউ না থাকলেও, ঠিকই আসন্ন টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ খেলতে যাওয়া বেশ কয়েকজন ক্রিকেটার থাকছেন আইপিএলের ফাইনালে। কলকাতার রহমানউল্লাহ গুরবাজ, ফিল সল্ট, আন্দ্রে রাসেল ও মিচেল স্টার্ক এবং হায়দরাবাদের কামিন্স, হেইরিখ ক্লাসেন, ট্রাভিস হেড, এইডেন মার্করাম, মার্কো জানসেন, গ্লেন ফিলিপস ও ফজলহক ফারুকিরা বিশ্বকাপের বিমান ধরবেন।
এদিকে, ২০১০ সালে অ্যাডাম গিলক্রিস্টের নেতৃত্বে দক্ষিণ আফ্রিকার মাটিতে প্রথম বার আইপিএল জিতেছিল হায়দরাবাদ। তখন নাম ছিল ডেকান চার্জার্স। নতুন নামকরণের পর ২০১৬ সালে ডেভিড ওয়ার্নারের নেতৃত্বে দ্বিতীয় বার চ্যাম্পিয়ন হয় হায়দরাবাদের ফ্রাঞ্চাইজিটি। এবার আরেক অজি তারকার সামনে রয়েছে দলটিকে চ্যাম্পিয়ন করার সুযোগ। অন্যদিকে গৌতম গম্ভীরের নেতৃত্বে ২০১২ ও ২০১৪ আইপিএলের শিরোপা জিতেছিল কলকাতা। এবার প্রথমবারের মতো দুই দলের হয়ে ফাইনালে নেতৃত্ব দেওয়ার রেকর্ড কলকাতার (এর আগে দিল্লি) আইয়ারের সামনে।