চট্টগ্রাম

ফুটওভার ব্রিজ ব্যবহারে অনীহা, বাড়ছে প্রাণহানি

ঢাকা–চট্টগ্রাম মহাসড়কের মীরসরাই উপজেলার বিভিন্ন অংশে ফুটওভার ব্রিজ থাকা সত্তেও সাধারণ জনগণের অসচেতনতার দরুন ঘটছে দুর্ঘটনা, ঝরছে প্রাণ। সম্প্রতি মীরসরাই সদরে ঝুকিপূর্ণ সড়ক পারাপার হতে গিয়ে মৃত্যুবরণ করেছেন একজন বীর মুক্তিযোদ্ধা। বারইয়ারহাটে মৃত্যুবরণ করেছেন একজন গৃহবধূ।

সরেজমিন ঘুরে দেখা যায়, ফুটওভার ব্রিজ থাকা সত্ত্বেও পথচারীরা খুঁজে বের করছেন কোথায় হাই ডিভাইডার শেষ। আবার অনেকে হাই ডিভাইডার অতিক্রম করেই পারাপার হচ্ছেন। ফুটওভার ব্রিজ থেকে মাত্র ৫০–১০০ ফুটের মধ্যেই ডিভাইডারের ফাঁকা অংশ ব্রিজে উঠানামার কষ্ট এড়াতে ঝুঁকি নিয়ে রাস্তা পারাপার হচ্ছেন অধিকাংশ মানুষ। এতে প্রায়ই দুর্ঘটনার শিকার হন পথচারীরা।

মহাসড়কের মীরসরাই সদরে মূল প্রাণকেন্দ্রেই রয়েছে ফুটওভারব্রিজ। এরপরও ডিভাইডার টপকে পার হতে দেখা যায় অনেক পথচারীকে। এভাবে পার হতে গিয়ে অনেকেই হতাহত হচ্ছেন।

জানা যায়, গত মাসে স্থানীয় বীর মুক্তিযোদ্ধা এমদাদুল হক এভাবে পার হতে গেলে একটি দ্রুতগামী হাইস তাকে ধাক্কা দেয়। গুরুতর আহত অবস্থায় হাসপাতালে প্রায় একমাস চিকিৎসাধীন থাকার পর গত সপ্তাহে তিনি মৃত্যুবরণ করেন। বারইয়াহাট পৌরসভায়ও একই অবস্থা। সেখানেও ফুটওভারব্রিজ থাকার পরেও লাইন ধরে ডিভাইডার টপকে মানুষ পার হয়। এতে প্রায়ই দুর্ঘটনা ঘটে।

এ বিষয়ে হাইওয়ে পুলিশ জোরারগঞ্জ ফাঁড়ির ইনচার্জ সোহেল সরকার জানান, ফুটওভার ব্রিজ ব্যবহারে সচেতনতা বাড়াতে পুলিশের পাশাপাশি এলাকার বিশিষ্ট ব্যক্তি ও সচেতন মহলকে এগিয়ে আসতে হবে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *