বঙ্গবন্ধুর ভাষণের ১১০৮ শব্দের বেলুন উড়ল আকাশে
বঙ্গবন্ধুর ৭ই মার্চের ঐতিহাসিক ভাষণ স্মরণে ওই ভাষণের ১১০৮টি শব্দ নিয়ে ফরিদপুরে শব্দ মিছিল ও শব্দগুলো লেখা বেলুন আকাশে উড়ানো হয়েছে। বৃহস্পতিবার (৭ মার্চ) বিকেল ৪টার দিকে ফরিদপুর শেখ জামাল স্টেডিয়াম থেকে মিছিলটি শুরু হয়ে বিভিন্ন সড়ক ঘুরে আবার স্টেডিয়ামে ফিরে আসে। এ সময় শিক্ষার্থীরা বঙ্গবন্ধুর ভাষণের ১১০৮ শব্দ বিশিষ্ট প্লাকার্ড একেকজন বহন করে।
স্টেডিয়ামে জাতীয় সংগীতের মাধ্যমে বিকেল ৫টার দিকে ‘আলোচনা সভা ও ভিন্ন ভাষাভাষী/বিদেশিদের মাধ্যমে ৭ই মার্চের ভাষণ/ ভাষণের গুরুত্ব উপস্থাপন’ অনুষ্ঠান শুরু হয়।
জাতীয় সংগীতের পর বঙ্গবন্ধুর ভাষণের ১১০৮ শব্দ সম্বলিত লাল ও সবুজ রঙের ১১০৮টি বেলুন আকাশে উড়িয়ে দেওয়া হয়। এ সময় আকাশে লাল সবুজের বেলুনে সুন্দর এক দৃশ্যের অবতারণা হয়।
এতে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেন মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী আব্দুর রহমান। তিনি বলেন, ৫৪ বছর আগে বঙ্গবন্ধু এই ঐতিহাসিক ভাষণের মাধ্যমে নিরস্ত্র বাঙালি জাতিকে সশস্ত্রে রূপান্তরিত করে দেশকে স্বাধীনত সংগ্রামের উপযোগী করে গড়ে তোলেন। এ ভাষণ শুধু বাংলা ভাষাভাষীদের জন্যই নয়, সমগ্র বিশ্বের নির্যাতিত নিপীড়িত মানুষের মুক্তির আলোকবর্তিকা হয়ে উঠেছে।
আব্দুর রহমান বলেন, ১৯৭৫ সালে বঙ্গবন্ধুকে হত্যার পর যারা এ মহা মূল্যবান ভাষণ কাটা ছেঁড়া করা, ধ্বংস করার উদ্যোগ নিয়েছিল তারাই আজ ইতিহাসের অস্তাকুড়ে নিক্ষিপ্ত হয়েছেন।
অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্য দেন ফরিদপুর-৩ (সদর) আসনের সংসদ সদস্য এ কে আজাদ, সংরক্ষিত নারী সংসদ সদস্য ঝর্না হাসান ও ফরিদপুরের পুলিশ সুপার মোহাম্মদ মোরশেদ আলম।
জেলা প্রশাসক কামরুল আহসান তালুকদারের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি শামীম হক, সাধারণ সম্পাদক শাহ মো. ইশতিয়াক, ফরিদপুর পৌরসভার মেয়র অমিতাভ বোস ও সদর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মো. আব্দুর রাজ্জাক মোল্লা। তারা মঞ্চে উপস্থিত থাকলেও বক্তব্য দেননি।