বজ্রাঘাতে ৮ জেলায় ১০ জনের মৃত্যু
দেশের বিভিন্ন জেলায় বজ্রপাতে ১০ জনের মৃত্যু হয়েছে। সোমবার (৬ মে) সকাল থেকে সন্ধ্যার মধ্যে তাদের মৃত্যু হয়। এর মধ্যে ফরিদপুর, সিলেট, মাদারীপুর, নেত্রকোনা, শরীয়তপুর, মৌলভীবাজার ও হবিগঞ্জে প্রাণহানির ঘটনা ঘটে।
সিলেট: কানাইঘাটে মাঠে গরু চরাতে গিয়ে বজ্রাঘাতে মাহতাব উদ্দিন (৪৫) নামে এক ওমান প্রবাসীর মৃত্যু হয়েছে। বেলা সাড়ে ১১টার দিকে উপজেলার দীঘিরপার ৩ নম্বর পূর্ব ইউনিয়নে এ ঘটনা ঘটে। মাহতাব উদ্দিন মাতাই উপজেলার দর্পনগর পশ্চিম করচটি গ্রামের রফিকুল হকের ছেলে।
মাদারীপুর: জেলা শহরে বজ্রাঘাতে দুজনের মৃত্যু হয়েছে। এর মধ্যে আড়িয়াল খাঁ নদে গোসল করতে নেমে বজ্রাঘাতে সঞ্জিত বল্লভ (৩৪) নামে এক ব্যক্তির মৃত্যু হয়। বিকাল ৩টার দিকে শহরের বিসিক শিল্পনগরী এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। পাশাপাশি কালকিনিতে গোয়ালঘরে গরু বাঁধতে গিয়ে বজ্রাঘাতে জসিম হাওলাদার (৩৮) নামে একজনের মৃত্যু হয়েছে। বিকাল সাড়ে ৪টার দিকে উপজেলার কয়ারিয়া ইউনিয়নের ৯ নম্বর ওয়ার্ডের মোল্লার হাট এলাকার রামারপোল গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
শরীয়তপুর: দুপুরে বৃষ্টিপাতের সময় জাজিরা ও ভেদরগঞ্জ উপজেলায় বজ্রাঘাতে দুজনের মৃত্যু হয়েছে। তারা হলেন জাজিরার পূর্ব নাওডোবা ইউনিয়নের পাইনপাড়ার আলতু মাঝির মেয়ে আমেনা বেগম (২৬) ও ভেদরগঞ্জের সখিপুর থানার চরসেনসাস ইউনিয়নের বেড়াচাক্কি গ্রামের নেছার উদ্দিনের স্ত্রী কুলসুম বেগম (৩৮)।
নেত্রকোনা: আটপাড়া উপজেলার হাওরে ধান কাটার সময় বজ্রাঘাতে দেলোয়ার মিয়া (৩৫) নামে এক কৃষকের মৃত্যু হয়েছে। সকালে স্বরমুশিয়া গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। তিনি ওই গ্রামের ফিরোজ মিয়ার ছেলে।
ফরিদপুর: মধুখালীতে বজ্রাঘাতে মুরাদ মল্লিক (৫৩) নামে এক কৃষকের মৃত্যু হয়েছে। বিকাল ৩টার দিকে উপজেলার কামালদিয়া ইউনিয়নের কাপাসাটিয়া এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
গোপালগঞ্জ: কাশিয়ানী উপজেলার পাথর গ্রামে বিকাল ৫টার দিকে বজ্রাঘাতে এক ধানকাটা শ্রমিকের মৃত্যু হয়েছে।
মৌলভীবাজার: কমলগঞ্জ উপজেলার পতনঊষার ইউনিয়নের রসুলপুর গ্রামে বজ্রাঘাতে সমুজ মিয়া (৩০) নামে এক যুবকের মৃত্যু হয়েছে। সকাল সাড়ে ১০টার দিকে নিজ বাড়ির পাশে মাছ ধরতে গেলে এ ঘটনা ঘটে।
হবিগঞ্জ: সকালে বাহুবল উপজেলার সাতপাড়িয়া গ্রামে বাড়ির পাশের জমি থেকে গরু আনতে গিয়ে বজ্রাঘাতে মাদ্রাসাশিক্ষক দানিছ মিয়ার (৫৫) মৃত্যু হয়েছে। দানিছ মিয়া সাতপাড়িয়া গ্রামের রহিম উল্লাহর ছেলে এবং চলিতাতলা মাদ্রাসার শিক্ষক ছিলেন।