বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত খাগড়াছড়ির ১০৭ কিমি গ্রামীণ সড়ক
চলতি মাসের দুই দফায় বন্যায় ভেঙে পড়েছে খাগড়াছড়ির গ্রামীণ সড়ক যোগাযোগ। তছনছ হয়ে গেছে এইচবিবি রাস্তা। বানের স্রোতে ভেসে গেছে সড়কের কার্পেটিং। পাহাড়ি ঢল ও ভারী বর্ষণে সৃষ্ট বন্যায় খাগড়াছড়ির দীঘিনালা, সদর, মহালছড়ি ও মাটিরাঙাসহ ৯ উপজেলার অন্তত ১০৭ কিমি সড়ক যোগাযোগ ব্যাপকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
স্থানীয়রা জানান, বন্যার পানির স্রোতে কার্পেটিং ভেসে যাওয়ায় যান চলাচল বন্ধ হয়ে গেছে। আবার কোথাও কোথাও সড়ক ভেঙে যান চলাচলের অনুপযোগী হয়ে পড়েছে। এছাড়া এইচবিবি রাস্তা থেকে ইট উঠে যাওয়ায় অনেক সড়ক বিলীন হওয়ার পথে। সড়ক যোগাযোগে বিঘ্ন ঘটায় ভোগান্তিতে পড়েছে স্থানীয় বাসিন্দারা। দ্রুত সময়ের মধ্যে মেরামতের দাবি তাদের।
দীঘিনালা কবাখালি ইউনিয়নের স্থানীয় বাসিন্দা মো. কাউসার আজিজি, শামসুর রানা জানান, আমাদের এলাকায় আগস্ট মাসে দুই দফায় বন্যা হয়েছে। সড়ক ভেঙে গেছে। এখন যাতায়াত বন্ধ। বেশিরভাগ সড়কের কার্পেটিং ভেঙে গেছে। কোথাও কোথাও বড় গর্ত হয়ে গেছে। শিক্ষার্থীদের স্কুলে যেতে সমস্যা হচ্ছে। গাড়ি নিয়ে যেতে পারছি না। সড়কটি দ্রুত মেরামতের দাবি জানাচ্ছি।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, দীঘিনালায় বন্যা দীর্ঘস্থায়ী হওয়ায় কাপের্টিং ওঠে গিয়ে এইচবিবি সড়ক বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। ক্ষতিগ্রস্ত গ্রামীণ সড়ক দ্রুত মেরামতের নির্দেশ দিয়েছেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. মামুনুর রশীদ। তিনি বলেন, বন্যায় দীঘিনালা, খাগড়াছড়ির গ্রামীণ সড়ক মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। ইতোমধ্যে সড়কগুলোর ক্ষতি নিরূপণ কাজ শেষ হয়েছে। দ্রুত সময়ের ভেঙে যাওয়া সড়ক মেরামত করে তা যান চলাচলের উপযোগী করার নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।
স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর–এলজিইডির উপজেলা প্রকৌশলী মো. ফজলুল হক জানান, ইতোমধ্যে সড়কের ক্ষয়ক্ষতি নিরূপণ শেষ হয়েছে। মেরামতের অর্থ বরাদ্দ পেলে কাজ শুরু হবে। বন্যায় খাগড়াছড়ির পুরো জেলায় ১০৭ কিলোমিটার গ্রামীণ সড়ক, ১৪টি কালভার্ট ও ৩টি সেতু ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। তিনি জানান, বানের পানিতে এক উপজেলার সাথে সড়ক যোগাযোগ বন্ধ হয়েছে। দুইটি সড়ক যান চলাচলের অনুপোযোগী হয়ে পড়েছে। আমরা ক্ষতি প্রাক্কলন করে কর্তৃপক্ষের কাছে পাঠিয়েছি। বরাদ্দ পেলে কাজ শুরু করব।