অর্থনীতি

বন্যায় পণ্য পরিবহন বাধাগ্রস্ত, সংকটের শঙ্কা

ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়ক প্লাবিত হওয়ার কারণে চট্টগ্রামের কনটেইনার ডিপোগুলোতে রপ্তানি পণ্যবাহী কাভার্ড ভ্যান আসা কমে গেছে। চট্টগ্রামের বেসরকারি ১৯টি ডিপোতে কাভার্ড ভ্যানে রপ্তানি পণ্য আসা এক দিনের ব্যবধানে ৩৫ শতাংশ কমে গেছে। ব্যবসায়ীরা বলছেন, ঢাকা–চট্টগ্রাম মহাসড়কের ফেনী থেকে কুমিল্লা পর্যন্ত কোনো কোনো অংশ প্লাবিত হয়ে যান চলাচল মারাত্মকভাবে বিঘ্নিত হয়েছে। তাতে মহাসড়কে তীব্র যানজট তৈরি হয়েছে। এ অবস্থায় পণ্য আনা–নেওয়া কমে গেছে।

বেসরকারি কনটেইনার ডিপো সমিতির হিসাবে, গত বুধবার সকাল আটটা থেকে বৃহস্পতিবার সকাল আটটা পর্যন্ত চট্টগ্রামের ১৯টি ডিপোতে রপ্তানি পণ্যবাহী গাড়ি এসেছে ৩ হাজার ১৮৮টি। সেখানে গত বৃহস্পতিবার সকাল ৮টা থেকে শুক্রবার সকাল ৮টা পর্যন্ত পণ্যবাহী গাড়ি এসেছে ২ হাজার ৬০টি।

চট্টগ্রাম বন্দর দিয়ে রপ্তানি হওয়া পণ্যের ৯০ শতাংশই ব্যবস্থাপনা করে চট্টগ্রামের বেসরকারি ডিপোগুলো। রপ্তানিকারকেরা কারখানা থেকে কাভার্ড ভ্যানে পণ্য এনে ডিপোর ছাউনিতে রাখেন। সেখানে কাস্টমসের শুল্কায়নপ্রক্রিয়া শেষে এসব পণ্য রপ্তানির উদ্দেশ্যে জাহাজে তুলে দেওয়া হয়। এ ছাড়া ৩৮ ধরনের আমদানি পণ্য বন্দর থেকে ডিপোতে এনে খালাস করা হয়।

জানতে চাইলে কনটেইনার ডিপো সমিতির মহাসচিব রুহুল আমিন সিকদার বলেন, ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের বিভিন্ন অংশ প্লাবিত হয়েছে। এ কারণে সড়কপথে পণ্য আনা–নেওয়া কমে গেছে। বৃহস্পতিবার ও শুক্রবার—এই দুই দিনের হিসাবে, পণ্য পরিবহনকারী গাড়ির সংখ্যা এক হাজারের বেশি কমেছে।

এদিকে পরিবহনে অনিশ্চয়তার কারণে চট্টগ্রাম বন্দর থেকে আমদানিকারকদের পণ্য ছাড় করাও কমিয়ে দিয়েছে। তবে চট্টগ্রাম বন্দরে পণ্য খালাস কার্যক্রম স্বাভাবিক রয়েছে।

নিট পোশাকশিল্প মালিকদের সংগঠন বিকেএমইএর নির্বাহী সভাপতি মোহাম্মদ হাতেম বলেন, ‘ঢাকা–চট্টগ্রাম মহাসড়ক দিয়ে বৃহস্পতিবার থেকেই যান চলাচল বন্ধ। সে জন্য গত দুই দিন কোনো পণ্যবাহী ট্রাক চট্টগ্রাম বন্দরে পাঠাতে পারিনি। অবস্থা এতটা জটিল যে ফেনীতে ত্রাণ পাঠানোর জন্যও ট্রাকমালিকদের রাজি করানো যাচ্ছে না।’ তিনি আরও বলেন, গত জুলাই থেকে এখন পর্যন্ত তিন দফায় পণ্য রপ্তানি বাধাগ্রস্ত হলো। বর্তমান বন্যা পরিস্থিতি দীর্ঘায়িত হলে তৈরি পোশাকশিল্পের উদ্যোক্তারা নতুন করে সংকটে পড়বেন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *