বন্যায় মৃতের সংখ্যা বেড়ে ৭১
ফেনী-নোয়াখালীসহ দেশে চলমান বন্যায় ১১ জেলায় মৃতের সংখ্যা বেড়ে ৭১ জনে দাঁড়িয়েছে।
মঙ্গলবার (০৩ সেপ্টেম্বর) সচিবালয়ে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের ব্রিফিংয়ে এসব তথ্য জানান মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব কে এম আলী রেজা।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা ফারুক ই আজম এবং সচিব কামরুল হাসান।
অতিরিক্ত সচিব কে এম আলী রেজা জানান, বন্যায় এখন পর্যন্ত ৭১ জনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে। এর মধ্যে পুরুষ ৪৫ জন, নারী সাত জন এবং শিশু ১৯ জন। জেলাভিত্তিক হিসেবে কুমিল্লায় ১৯ জন, ফেনীতে ২৮ জন, চট্টগ্রামে ছয়জন, খাগড়াছড়িতে একজন, নোয়াখালীতে ১১ জন, ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় একজন, লক্ষ্মীপুরে একজন, কক্সবাজারে তিনজন ও মৌলভীবাজারে একজন। আর নিখোঁজের সংখ্যা মৌলভীবাজারে একজন।
তিনি জানান, দেশের পূর্বাঞ্চলের ১১টি জেলায় (ফেনী, কুমিল্লা, চট্টগ্রাম, খাগড়াছড়ি, নোয়াখালী, মৌলভীবাজার, হবিগঞ্জ, ব্রাহ্মণবাড়ীয়া, সিলেট, লক্ষ্মীপুর ও কক্সবাজার) ১৫ দিন ধরে বন্যা পরিস্থিতি বিরাজমান। চট্টগ্রাম, খাগড়াছড়ি, হবিগঞ্জ, সিলেট, ব্রাহ্মণবাড়িয়া ও কক্সবাজার জেলার বন্যা পরিস্থিতি সম্পূর্ণ স্বাভাবিক। মৌলভীবাজারের বন্যা পরিস্থিতির উন্নতি হয়েছে এবং ফেনী, কুমিল্লা, নোয়াখালী ও লক্ষ্মীপুর জেলার বন্যা পরিস্থিতি উন্নতি হচ্ছে।
তিনি আরও জানান, পানিবন্দি বা ক্ষতিগ্রস্ত লোকদের আশ্রয় দেওয়ার জন্য বর্তমানে তিন হাজার ৬১২টি আশ্রয়কেন্দ্র খোলা আছে। এসব আশ্রয়কেন্দ্রে দুই লাখ ৮৫ হাজার ৯৯৬ জন লোক এবং ৩১ হাজার ২০৩টি গবাদি পশু এখনও অবস্থান করছে।
৬৮টি উপজেলায় বন্যা প্লাবিত এবং ক্ষতিগ্রস্ত ইউনিয়ন ও পৌরসভার সংখ্যা ৫০৪টি। বর্তমানে মোট পাঁচ লাখ ৮২ হাজার ১৫৫টি পরিবার পানিবন্দি রয়েছে। ক্ষতিগ্রস্ত লোকের সংখ্যা ৫০ লাখ ২৪ হাজার ২০২ জন।
বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত মানুষের জন্য ১১ জেলায় চার কোটি ৫২ লাখ টাকা, ২০ হাজার ৬৫০ মেট্রিকটন চাল, ১৫ হাজার শুকনা খাবার প্যাকেট, শিশু খাদ্যের জন্য ৩৫ লাখ টাকা ও গো খাদ্য বাবদ ৩৫ লাখ টাকা বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে।
ব্রিফিংয়ে তিনি আরও জানান, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সংগৃহীত মোট এক লাখ ৮৬ হাজার ১০০ প্যাকেট শুকনা খাবার, কাপড় ও পানি দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা অধিদপ্তরের (ডিডিএম) মাধ্যমে বন্যা কবলিত এলাকায় বিতরণ করা হয়েছে।