দেশজুড়ে

বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ে হলে রাত কাটিয়েছেন উপাচার্য

হামলার গুজবকে কেন্দ্র করে পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে উপাচার্য, প্রক্টর, প্রভোস্টসহ বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক-কর্মকর্তারা শিক্ষার্থীদের সঙ্গে হলগুলোতে নির্ঘুম রাত কাটিয়েছেন।

তবে রাতভর বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের গোটা ক্যাম্পাসে কোনো ধরনের অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটেনি বলে জানিয়েছেন প্রক্টর ও মার্কেটিং বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ড. মো. আব্দুল কাইয়ুম।

জানা গেছে, হামলার গুজবকে কেন্দ্র করে পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে মঙ্গলবার (১৬ জুলাই) দিবাগত রাত ১১টার পর থেকে প্রভোস্টরা প্রতিটি হলের শিক্ষার্থীদের সঙ্গে আলাদা আলাদা বৈঠক করেন। পরে মাঝ রাতে উপাচার্য অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ বদরুজ্জামান ভুঁইয়া প্রক্টরিয়াল বডি ও শিক্ষক নেতাদের সঙ্গে নিয়ে হলগুলো পরিদর্শন করেন। এ সময় তিনি হলগুলোর শিক্ষার্থীদের সঙ্গে কথা বলেন। এমনকি তাদের সঙ্গে ক্যারম খেলেন।

হলের শিক্ষার্থীরা জানান, রাত ১০টার পরে তারা বিভিন্ন মাধ্যমে খবর পাচ্ছিলেন কোটা সংস্কারের দাবিতে করা আন্দোলন করা শিক্ষার্থীদের ওপর হলের ভেতর হামলা হতে পারে। এ খবরে গোটা ক্যাম্পাসের হলগুলোতে থাকা শিক্ষার্থীদের মধ্যে আতঙ্ক দেখা দেয়। পরে বিষয়টি বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন জানতে পারে এবং রাতেই উপাচার্য, প্রক্টর, প্রভোস্টসহ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক-কর্মকর্তারা হলে উপস্থিত হন।

বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর ও মার্কেটিং বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ড. মো. আব্দুল কাইয়ুম বলেন, গুজবের বিষয়টি নিয়ে সাধারণ শিক্ষার্থীদের মাঝে কিছুটা আতঙ্ক ছিল। এ কারণে উপাচার্য, প্রক্টর, প্রভোস্টসহ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক-কর্মকর্তারা সারা রাত শিক্ষার্থীদের সঙ্গে হলগুলোতে ছিলেন। কোনো ধরনের অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটেনি।

তিনি জানান, ইউজিসির সিদ্ধান্ত মোতাবেক আজ থেকে সকল পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধ, যার ব্যত্যয় বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্ষেত্রেও ঘটছে না। তবে শিক্ষার্থীদের হল ত্যাগের বিষয়টি নিয়ে কিছুক্ষণ পরে সভা করে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। শেষে বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধসহ হল ত্যাগের বিষয়ে সবাইকে বিস্তারিত জানানো হবে।

কোটা সংস্কারের দাবিতে দেশের অন্যান্য বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর মতো আন্দোলন চালিয়ে যাচ্ছেন বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা। তারা কয়েবার বরিশাল-কুয়াকাটা মহাসড়ক অবরোধ করলেও এখন অবধি কোনো ধরনের অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটেনি।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *