বহদ্দারহাটে ফ্লাইওভার ধস মামলার রায় বুধবার
চট্টগ্রাম নগরের চান্দগাঁও থানার বহদ্দারহাটে এক যুগ আগে নির্মাণাধীন ফ্লাইওভারের তিনটি গার্ডার ধসে ১৩ জন নিহতের ঘটনায় দায়ের হওয়া মামলার রায় ঘোষণা বুধবার (১০ জুলাই)। এর আগে, গত ২৫ জুন রাষ্ট্র ও আসামিপক্ষের যুক্তিতর্ক উপস্থাপন শেষে চট্টগ্রামের চতুর্থ অতিরিক্ত মহানগর দায়রা জজ শরীফুল আলম ভূঁঞার আদালত এ আদেশ দেন।
এই মামলার আট আসামিদের সবাই ঠিকাদার মীর আখতার-পারিসা’র (জেভি) তৎকালীন কর্মী। তারা হলেন— প্রকল্প ব্যবস্থাপক গিয়াস উদ্দিন, মনজুরুল ইসলাম, প্রকৌশলী আবদুল জলিল, আমিনুর রহমান, আবদুল হাই, মোশাররফ হোসেন, মান নিয়ন্ত্রণ প্রকৌশলী শাহজাহান আলী ও রফিকুল ইসলাম।
চতুর্থ অতিরিক্ত মহানগর দায়রা জজ আদালতের পিপি অনুপম চক্রবর্তী জানিয়েছিলেন, মামলায় ২২ জনের সাক্ষ্যগ্রহণ করা হয়েছে। এরপর যুক্তিতর্ক উপস্থাপনও শেষ হয়েছে। আদালত রায় ঘোষণার জন্য দিন ঠিক করেছেন। মামলায় ৩০৪ এবং ৩৩৮ ধারায় অভিযোগ গঠন করা হয়েছিল। এর মধ্যে ৩০৪ ধারায় অবহেলাজনিত মৃত্যুর অভিযোগে সর্বোচ্চ শাস্তি ১০ বছরের কারাদণ্ড এবং ৩৩৮ ধারায় গাফিলতির কারণে কেউ আহত হলে সর্বোচ্চ সাজা ২ বছর।
মামলার নথি থেকে জানা যায়, কর্তব্যে অবহেলাজনিত মৃত্যুর অভিযোগ এনে বহদ্দারহাটে নির্মাণাধীন ফ্লাইওভারের গার্ডার ধসে প্রাণহানির ঘটনায় প্রকল্প পরিচালক চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (সিডিএ) নির্বাহী প্রকৌশলীসহ ২৫ জনের বিরুদ্ধে ২০১২ সালের ২৬ নভেম্বর চান্দগাঁও থানার তৎকালীন উপ-পরিদর্শক (এসআই) আবুল কালাম আজাদ বাদী হয়ে মামলা দায়ের করেন। পুলিশ তদন্ত শেষে ২০১৩ সালের ২৪ অক্টোবর আদালতে ৮ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দাখিল করেন। ২০১৪ সালের ১৮ জুন তৎকালীন চট্টগ্রাম মহানগর দায়রা জজ এসএম মজিবুর রহমানের আদালত ৮ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র গঠন করে বিচার শুরুর আদেশ দেন।
আদালতের বেঞ্চ সহকারী ওমর ফুয়াদ বলেন, বহদ্দারহাটে নির্মাণাধীন ফ্লাইওভারের গার্ডার ধসে ১৩ জন নিহত হওয়ার ঘটনায় দায়ের করা মামলায় মোট ২৮ জন সাক্ষীর মধ্যে রাষ্ট্রপক্ষে ২২ জনের সাক্ষ্যগ্রহণ হয়েছে। আসামি পক্ষে সাফাই সাক্ষী দিয়েছেন ৭ জন। গত ২৫ জুন দুই পক্ষের যুক্তিতর্ক শুনানি শেষ হয়। এরপর আদালত রায় ঘোষণার জন্য ১০ জুলাই দিন ঠিক করেন।