চট্টগ্রাম

বাঁশখালীতে আসামি ধরতে গিয়ে হামলার শিকার পুলিশ

বাঁশখালীতে জিয়াউর রহমান (৪৫) নামে ওয়ারেন্টভুক্ত এক আসামিকে ধরতে গিয়ে হামলার শিকার হয়েছেন পুলিশ সদস্যরা। এতে চার পুলিশ সদস্য ও একজন গ্রাম পুলিশ (চৌকিদার) আহত হয়েছেন। গতকাল মঙ্গলবার সন্ধ্যায় বাঁশখালীর শিলকূপে ইউনিয়নের ৭ নম্বর ওয়ার্ড এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।

স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, মঙ্গলবার বাঁশখালী থানার উপ–পরিদর্শক মং থোয়াই হ্লা চাকের নেতৃত্বে ওয়ারেন্টভুক্ত পলাতক আসামি জিয়াউর রহমানকে গ্রেপ্তারে অভিযান পরিচালনা করে। এসময় পুলিশ সদস্যদের ওপর দেশীয় অস্ত্র দিয়ে হামলা চালায় আসামি পক্ষের লোকজন। এতে এসআই মং থোয়াই হ্লা চাক, পুলিশ সদস্য আনোয়ার হোসেন, মো. ইব্রাহিম আহন হন।

এ সময় পুলিশ সদস্যরা স্থানীয়দের সহায়তায় আসামির বাড়ি ঘেরাও করে রেখে থানায় খবর দিলে পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) সুধাংশ শেখর হাওলাদার ও এসআই তোফাজ্জলের নেতৃত্বে অতিরিক্ত পুলিশ ঘটনাস্থলে যান। এ সময় পুলিশ সদস্য এবং স্থানীয় জনগণ জিয়াকে ঘর থেকে বেরিয়ে আসার অনুরোধ করা হলে তিনি বের হতে অস্বীকৃতি জানান। পরে স্থানীয় গ্রাম পুলিশ নাসিরের সহায়তায় বের হওয়ার জন্য অনুরোধ করা হয়। জিয়া নাসিরের ডাকে সাড়া দেয় এবং দরজা খুলে তার হাতে থাকা ধারালো দা দিয়ে আঘাত করলে নাসিরের কানে কোপ লেগে গুরুতর জখম হয়। পরে অন্যান্য পুলিশের ওপর আক্রমণের চেষ্টা করলে পুলিশ দুই রাউন্ড ফাঁকা গুলি ছোঁড়ে।

এসময় জিয়াউর রহমান পালানোর চেষ্টাকালে গাছের সঙ্গে ধাক্কা খেয়ে চোখে আঘাত পায়। পরে পুলিশ তার বসতঘরে তল্লাশি করে শয়ন কক্ষে তোষকের নিচ থেকে একটি দেশীয় ওয়ান শুটার গান ও দুই রাউন্ড গুলি জব্দ করে। গ্রেপ্তার আসামিকে উন্নত চিকিৎসার জন্য চট্টগ্রাম মেডিকেল হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।

এ বিষয়ে বাঁশখালী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. তোফায়েল আহমেদ বলেন, জিয়াউর রহমান ২০১৯ সালের ১৯ মার্চ ধারালো অস্ত্র নিয়ে বঙ্গভবনে প্রবেশকালে পুলিশ বাধা দিলে একইভাবে পুলিশকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে গুরুতর জখম করে। তখন তার বিরুদ্ধে মতিঝিল থানায় একটি মামলা হয়। এছাড়াও তার বিরুদ্ধে ডিএমপিতে তিনটি মামলা চলমান আছে। সে জামিন নিয়ে আত্মগোপনে চলে যায়।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *