চট্টগ্রামবাঁশখালী

বাঁশখালীতে স্ত্রীর মামলায় সাজাপ্রাপ্ত ব্যাংকার স্বামী গ্রেপ্তার

বাঁশখালীতে দিদারুল আলম (৩৩) নামের এক পলাতক আসামিকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। শুক্রবার (২৮ জুন) কক্সবাজার সদর থানার উপপরিদর্শক (এসআই) নুর মোহাম্মদের নেতৃত্বে কলাতলী রোডের ঝিলংজা এলাকার মার্কেন্টাইল ব্যাংক থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।

দিদারুল আলম বাঁশখালীর বাহারছড়া ইউনিয়নের উত্তর বাহারছড়া এলাকার মোল্লাপাড়ার জেবল হোসেনের ছেলে। তিনি কক্সবাজার সদরের কলাতলী রোডের মার্কেন্টাইল ব্যাংকের ঝিলংজা শাখায় ফিল্ড অফিসার পদে কর্মরত ছিলেন।

বিষয়টি নিশ্চিত করে কক্সবাজার সদর থানার উপপরিদর্শক (এসআই) নুর মোহাম্মদ একুশে পত্রিকাকে বলেন, ‘দিদারুল আলম তার বিরুদ্ধে সাজা পরোয়ানা জারির বিষয়টি গোপন করে মার্কেন্টাইল ব্যাংকের কক্সবাজার সদর কলাতলী রোডের ঝিলংজা শাখায় দীর্ঘদিন ধরে চাকরি করে যাচ্ছিলেন। গোপন সংবাদের ভিত্তিতে মার্কেন্টাইল ব্যাংকের ঝিলংজা ব্রাঞ্চে অভিযান চালিয়ে তাকে গ্রেপ্তার করেছি।’

জানা যায়, বাঁশখালীর বাহারছড়া ইউনিয়নের উত্তর বাহারছড়া এলাকার মোল্লাপাড়ার জেবল হোসেনের ছেলে দিদারুল আলমের সাথে রাঙ্গুনিয়া উপজেলার রাণীরহাট ইউনিয়নের সাতজহিরা এলাকার মো. ইউসুফের মেয়ে রুমি আক্তারের সাথে বিয়ে হয়। তারা চট্টগ্রাম নগরের পতেঙ্গা চরপাড়া এলাকায় পাইলট টাউয়ারে ভাড়া বাসায় থাকতেন।

পরে স্ত্রী রুমি আক্তার বাদী হয়ে চট্টগ্রাম নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-৭ এ মামলা দায়ের করেন। আদালত ওই মামলায় ২০১৯ সালের ৭ আগস্ট পলাতক আসামি দিদারুল আলমকে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইন-২০০০ (সংশোধিত-২০০৩) এর ১১(গ) ধারায় দোষী সাব্যস্ত করে দুই বছরের সশ্রম কারাদণ্ড দেন। একই সাথে ২০ হাজার টাকা অর্থদণ্ড ও জরিমানা অনাদায়ে তিন মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ড দেন। ওই মামলায় দিদারুল আলম ৫ বছর পলাতক ছিলেন।

বাঁশখালী থানার অপারেশন অফিসার কামরুল হাসান কায়কোবাদ একুশে পত্রিকাকে বলেন, ‘পলাতক আসামি দিদারুলের বিরুদ্ধে একটি মামলায় দুই বছরের সাজা ছিল। তাকে আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে।’

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *