বাঁশখালীর সাবেক ও বর্তমান এমপির পাল্টাপাল্টি হুমকি
বাঁশখালীতে আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবসের আলোচনা সভায় বক্তব্য রাখতে গিয়ে সাবেক এমপি ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মোস্তাফিজুর রহমান চৌধুরী বর্তমান এমপি মুজিবুর রহমান ও বাঁশখালী থানার ওসি তোফায়েল আহমদকে নাম ধরে হুমকি দিয়ে বলেন, ‘চুরি করে এমপি হয়েছেন ভাল কথা। সোজা সোজা এমপিগিরি করেন, না হয় কিভাবে শায়েস্তা করতে হয় সেটা আমার জানা আছে।’
উপজেলা আওয়ামী লীগের কার্যালয়ে বুধবার বিকালে মাতৃভাষা দিবসের আলোচনা সভায় সভাপতির বক্তব্যে সাবেক এমপি মোস্তাফিজুর রহমান চৌধুরী বর্তমান এমপি মুজিবুর রহমানকে জামাত বিএনপির লোক বলে দাবি করে বলেন, বাঁশখালী আদর্শ উচ্চ বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটিতে আমি ছিলাম, সেখানে ৩৫ কোটি টাকার বিল্ডিং করা হয়েছে। সেখানে বিএনপি নেতা কামরুল ইসলাম হোসাইনীকে সভাপতি করা হয়েছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, বিদ্যালয়ের টাকা লুটের জন্য আমার সভাপতি পদ কেড়ে নিয়ে বিএনপি জামাতকে দেয়া হয়েছে।
সাবেক এমপি মোস্তাফিজুর রহমান চৌধুরী আরো বলেন, ‘নৌকাকে-আমাকে ষড়যন্ত্র করে হারানো হয়েছে। সেদিন আমি হুকুম দিলে আমার ভাইয়েরা, আমার কর্মীরা সারা বাঁশখালী অচল করে দিত। কিন্তু আমি সেটা হতে দেইনি। চুপচাপ শহরে চলে গিয়েছিলাম।’
ওসি তোফায়েল আহমদ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘আমি হুকুম দিলে ওসি তোফাইলকে জনগণ ধরে নিয়ে পিটাইতো’ আমি নীরব ছিলাম, এখনও তার কি হয় দেখেন। আমি আইনের সহযোগিতা নিয়ে কাজ করছি। এই ওসি তোফাইলের কি হয় আপনারা দেখেন।’
এদিকে বর্তমান এমপি মুজিবুর রহমানও বুধবার রাতে পৌরসভার বণিক পাড়ায় এক ধর্মসভায় পাল্টা হুমকি দিয়ে বলেন, ‘আমার ভদ্রতাকে দুর্বলতা ভাববেন না। বেশি বাড়াবাড়ি করলে বিগত ১০ বছরে সরকারের দেওয়া, টিআর কাবিকা, নলকূপ সহ কোটি কোটি টাকার সরকারের সব উন্নয়ন বরাদ্দ–কোথায় উন্নয়ন হয়েছে তার হিসাব মেলানো শুরু করতে হবে। বাঁশখালী থেকে দক্ষিণের পেকুয়া, চকরিয়া ৫০বছর এগিয়ে, উত্তরে আনোয়ারা মেগা সিটি হয়েছে। বাঁশখালীতে ফুটপাতে রয়ে গেছি আমরা। আসুন, একে অন্যের সাথে মিলে মিশে বাঁশখালীকে এগিয়ে নিয়ে যাই। না হয় আমি একাই এর প্রতিরোধে লড়ব, সাধারণ জনগণ আমার সাথে আছে।’
মাতৃভাষা দিবসে সাবেক এমপির হুমকির পরে রাতে ধর্মসভায় বর্তমান এমপির পাল্টা জবাব সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়লে আলোচনা সমালোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে পরিণত হয়।