চট্টগ্রামরাজনীতি

বাংলাদেশের অগ্রযাত্রায় শেখ হাসিনার বিকল্প নেই : ড. হাছান মাহমুদ

চট্টগ্রাম: তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, শেখ হাসিনা থাকলে বাংলাদেশ এগিয়ে যাবে, আজকের বাংলাদেশে জননেত্রী শেখ হাসিনার কোনো বিকল্প নেই। যে যত কথাই বলুক রক্তচক্ষু উপেক্ষা করে যিনি ‘না’ বলতে পারেন এবং বড় রাষ্ট্রের থাবাকে যিনি উপেক্ষা করতে পারেন, তিনি হচ্ছেন বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনা।

দেশকে এগিয়ে নিয়ে যেতে শেখ হাসিনার মতো সাহস রাখে বাংলাদেশে আর কোনো নেতা আছে কিনা- এমন প্রশ্ন রেখে তথ্যমন্ত্রী বলেন, শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বিশ্বব্যাংককে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে নিজের টাকায় পদ্মা সেতু করতে পেরেছেন। বিশ্বব্যাংকও ভাবেনি, এটি বাংলাদেশ করতে পারবে, বঙ্গবন্ধু কন্যা সেটি করে দেখিয়েছেন।

এরপর বিশ্ব ব্যাংক আবার টাকা দিতে চেয়েছিল, তিনি বলেছেন পদ্মা সেতুতে আমার টাকার দরকার নেই, তোমরা টাকা দিতে চাও অন্য প্রকল্পে দাও। সেজন্য আবার রেলব্রিজ করা হচ্ছে, ওখানে অবশ্য, বিশ্ব ব্যাংক স্বপ্রণোদিত হয়ে টাকা দিচ্ছে।

ড. হাছান মাহমুদ বলেন, প্রধানমন্ত্রী পুরো দেশের সার্বিক উন্নয়নের জন্য নানা পরিকল্পনা নিয়েছেন। আপনারা জানেন, চট্টগ্রামে বে-টার্মিনাল নির্মাণ করার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। বে-টার্মিনালে স্বাভাবিক সময়ে ১২ মিটার ড্রাফটের (জাহাজের পানির নিচের অংশ) জাহাজ থাকবে এবং সেটিকে একটু ড্রেসিং করে জোয়ারের সময় ১৪ মিটার ড্রাফটের জাহাজও ঢুকতে পারবে। পাশাপাশি মাতারবাড়ীতে ১৮ মিটার ড্রাফটের জাহাজ ভিড়তে পারার মতো করে বন্দর তৈরি করা হয়েছে। এই দুই জায়গা থেকে ছোট ছোট কার্গো শিপে করে পায়রা, মোংলা এবং ঢাকা শহরের আশপাশে যে ইন্ডাস্ট্রিগুলো হয়েছে সেখানে পণ্য পরিবহন করা হবে। এখন যেভাবে চট্টগ্রাম বন্দর থেকে কিছুটা করা হয়।

তথ্যমন্ত্রী বলেন, সব কিছু মাথায় নিয়ে প্রধানমন্ত্রী এ মহাপরিকল্পনা নিয়েছেন। চট্টগ্রামকে ঘিরে অনেক পরিকল্পনা হয়েছে, বিশেষ করে বঙ্গবন্ধু শিল্পনগর যখন পুরো উদ্যমে চালু হবে, তখন সেখানে কমপক্ষে ১৫ লাখ মানুষের কর্মসংস্থান হবে। বেশ কয়েকটা ইন্ডাস্ট্রি ইতিমধ্যে প্রোডাকশনে গেছে। আগামী বছরের মার্চ নাগাদ সেখানে দেশের প্রথম ইলেকট্রিক গাড়ি নির্মিত হবে। ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়ক ফোর লেনেও হচ্ছে না, এখন সিক্স লেনের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। রাস্তার পাশাপাশি আমাদের ওয়াটার ট্রান্সপোর্টেশন বাড়াতে হবে এবং ওয়াটার ট্রান্সপোর্টেশন ব্যয়সাশ্রয়ী। এটি পরিবেশবান্ধব, একই সঙ্গে এটি আমাদের নদীর নাব্যও ঠিক রাখে। ঢাকা থেকে চট্টগ্রাম হয়ে কক্সবাজার পর্যন্ত রেল চালু হয়েছে। এসব উদ্যোগ এবং বাস্তবায়ন মানুষের স্বপ্নকেও হার মানিয়েছে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *