খেলা

বাংলাদেশের সুপার এইট সম্ভাবনা!

টি-২০ বিশ্বকাপের নবম আসর শুরুর পূর্বের কিছু পারফরম্যান্সের কারণে বাংলাদেশকে নিয়ে যেন সমালোচনার ঝড় উঠেছিল। একের পর এক সিরিজ হার আর ব্যাটিং ব্যর্থতার কারণে নিয়মিতভাবে নেটিজেনদের দুয়ো ধ্বনীও শুনতে হয়েছিল টাইগারদের।

তবে সে সবকিছু ছাপিয়ে বিশ্বকাপে নিজেদের মিশন শুরুর ম্যাচেই সব সমালোচনার জবাব দিয়েছে টাইগাররা। শ্রীলংকাকে দুই উইকেটে হারিয়ে বৈশ্বিক এই আসরে শুভসূচনা করেছে তারা। কিন্তু আসরে নিজেদের দ্বিতীয় ম্যাচে যেন ভাগ্য সাথে ছিল না টাইগারদের।

সোমবার (১০ জুন) রাত সাড়ে ৮টায় নিউ ইয়র্কের নাসাউ কাউন্টি ক্রিকেট স্টেডিয়ামে দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে এবারের আসরে নিজেদের দ্বিতীয় ম্যাচ খেলতে মাঠে নেমেছিল বাংলাদেশ। যেখানে শুরুতে আগুন বোলিংয়ের মাধ্যমে প্রোটিয়াদের অল্পেই আটকে দিয়েছিল টাইগাররা।

পরে ১১৪ রানের লক্ষ্যে ব্যাট করতে নেমে শুরুতে বেশ ভালোভাবেই এগোচ্ছিল বাংলাদেশ। কিন্তু ম্যাচের প্রায় শেষের দিকে গিয়ে যেন এক প্রকার চাপে পড়েছিল টাইগাররা। তবুও মাহমুদুল্লাহর দায়িত্বশীলতা ও হৃদয়ের ভরসাবান ব্যাটিংয়ে জয়ের দ্বারপ্রান্তে পৌঁছে গিয়েছিল বাংলাদেশ।

কিন্তু শেষ মুহুর্তে বাঁধ সাধে বিতর্কিত আম্পায়ারিং। যদিও আইসিসির আইন অনুযায়ী সেটিকে ভুল বলা যায় না। তবুও সেটির কারণেই হয়ত ম্যাচটিতে পরাজয়ের স্বাদ নিতে হয়েছে বাংলাদেশকে। আর এমন পরিস্থিতিতে একটি প্রশ্ন ঘুরপাক খাচ্ছে সবখানেই, সুপার এইটে উঠতে বাংলাদেশের সম্ভাবনা কতটুকু?

বৈশ্বিক এই আসর শুরুর আগে বাংলাদেশকে অনেকে সুপার এইটের হিসাবেই রাখেননি। সাম্প্রতিক সময়ে টি-টোয়েন্টিতে দলের বেশিরভাগ ক্রিকেটারের ফর্ম এবং বিশ্বকাপ শুরুর ঠিক আগে যুক্তরাষ্ট্রের কাছে সিরিজ হারে বাংলাদেশকে টুর্নামেন্ট শুরুর আগেই বাতিলের খাতায় ফেলে দিয়েছিলেন বিশ্লেষকরা।

তবে বিশ্বকাপের প্রথম ম্যাচেই ঘুরে দাঁড়িয়েছে দেয়ালে পিঠ ঠেকে যাওয়া বাংলাদেশ। আর এই দুই ম্যাচের পারফরম্যান্সই চোখের পলকেই টাইগারদের নিয়ে এসেছে সুপার এইটের হিসাবে।

যদিও দ্বিতীয় ম্যাচে ভাগ্যের ফেরে হারতে হয়েছে বাংলাদেশকে। কিন্তু তারপরেও অবশ্য সুপার এইটের দৌড়ে ভালোভাবেই টিকে রয়েছে লাল-সবুজের প্রতিনিধিরা।

কারণ ইতোমধ্যেই গ্রুপের তুলনামূলক শক্তিশালী দুই প্রতিপক্ষের বিপক্ষে ম্যাচ খেলে ফেলেছে বাংলাদেশ। বাকি দুই ম্যাচ সহযোগী দুই দেশ নেদারল্যান্ডস এবং নেপালের বিপক্ষে। এই দুই ম্যাচ জিতলে আর কোন হিসাব-নিকাশের ধার ধারতে হবে না বাংলাদেশকে, সরাসরি সুপার এইটে পৌঁছে যাবে দল।

তবে যদি এই দুই ম্যাচের একটিতে বাংলাদেশকে চমকে দেয় নেদারল্যান্ডস বা নেপালের কেউ, তাহলে শান্তদের সুপার এইটের পথ কিছুটা হলেও বন্ধুর হবে। তখন গ্রুপের অন্য ম্যাচগুলোর ফলাফলের দিকে তাকিয়ে থাকতে হবে।

আর যদি নেদারল্যান্ডস এবং নেপাল দুই দলের কাছেই হেরে যায় বাংলাদেশ, তাহলে গ্রুপ পর্ব থেকেই বিদায় নিতে হবে।

গ্রুপ ‘ডি’তে দুই ম্যাচ খেলে দুই পয়েন্ট পাওয়া বাংলাদেশ এখন অবস্থান করছে টেবিলের দ্বিতীয় স্থানে। তিন ম্যাচ থেকে পূর্ণ ৬ পয়েন্ট নিয়ে শীর্ষে দক্ষিণ আফ্রিকা।

উল্লেখ্য, বাংলাদেশের পরের ম্যাচ নেদারল্যান্ডসের বিপক্ষে। ১৩ জুন কিংসটনের আরনস ভেল স্টেডিয়ামে বাংলাদেশ সময় রাত সাড়ে ৮টায় শুরু হবে এই ম্যাচ।

গ্রুপ পর্বের শেষ ম্যাচে বাংলাদেশের প্রতিপক্ষ দক্ষিণ এশিয়ার দল নেপাল। ১৭ জুন ভোর সাড়ে ৫টায় একই মাঠে অনুষ্ঠিত হবে এই ম্যাচ।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *