বাংলাদেশে মাসে ৭ বার ইন্টারনেটে বিঘ্ন ঘটে
দক্ষিণ এশিয়ার দেশ বাংলাদেশে প্রায়ই ইন্টারনেট সেবা বিঘ্নিত হয়ে থাকে। দেশটিতে প্রতিমাসে গড়ে ৭ বার ইন্টারনেট সেবা বিঘ্নিত হওয়ার আশঙ্কায় থাকেন গ্রাহকরা। এতে একদিকে যেমন অর্থনৈতিক ক্ষতি বাড়ছে অন্যদিকে ইন্টারনেট নির্ভর কোম্পানিগুলো প্রতিযোগিতার বৈশ্বিক ক্ষেত্রে পিছিয়ে পড়ছে। সম্প্রতি বিশ্বব্যাংকের প্রকাশিত ‘ডিজিটাল প্রোগ্রেস অ্যান্ড ট্রেন্ডস রিপোর্ট-২০২৩’-এ এমন তথ্য উঠে এসেছে।
প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে, ঘন ঘন এমন বিঘ্ন ঘটায় ব্যবসায়ের ধারাবাহিকতা বজায় রাখা এবং বৈশ্বিক ডিজিটাল অর্থনীতিতে অন্যান্য কোম্পানিগুলোর সঙ্গে প্রতিযোগিতায় ক্রমে পিছিয়ে পড়ছে দেশটি।
প্রতিবেদনের তথ্যানুযায়ী, বাংলাদেশে বর্তমানে প্রতি ১০০ জনে ৩৯ জন মানুষ ইন্টারনেট ব্যবহার করেন। ইন্টারনেট ব্যবহারের এ হার দক্ষিণ এশিয়ার দেশ পাকিস্তান ও আফগানিস্তানের তুলনায় বেশি। তবে প্রতিবেশী ভারত, শ্রীলঙ্কা, মিয়ানমার, ভুটান ও নেপালের মতো সমকক্ষের অর্থনীতির তুলনায় কম।
প্রতিবেদন অনুযায়ী, দেশের ৩২ শতাংশ মানুষ মোবাইল ফোনে ইন্টারনেট ব্যবহার করেন। দেশের মোবাইল ফোন ব্যবহারকারীদের মধ্যে স্মার্টফোন ব্যবহারের হার প্রায় ৫১ দশমিক ৭৭ শতাংশ।
প্রতিবেদনে বলা হয়, বর্তমানে বাংলাদেশের ৩৪ শতাংশ কোম্পানির ওয়েবসাইট রয়েছে। এছাড়া ২৩ শতাংশ কোম্পানি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ব্যবহার করে।
প্রতিবেদনের তথ্যানুযায়ী, দক্ষিণ এশিয়ার অন্যান্য দেশগুলোতেও স্মার্টফোন ব্যবহারকারীর হার বেশি। যেমন মালদ্বীপে ৮৩ শতাংশ, ভুটানে ৮১ শতাংশ, ভারতে ৭৭ শতাংশ, শ্রীলঙ্কায় ৭০ শতাংশ, পাকিস্তানে ৬৩ শতাংশ এবং নেপালে ৫৯ শতাংশ। তবে বাংলাদেশে স্মার্টফোন ব্যবহারের হার সবচেয়ে কম। আফগানিস্তানেও এ হার বাংলাদেশের চেয়ে বেশি। আফগানিস্তানে স্মার্টফোন ব্যবহারের হার ৫৫ দশমিক ৭৯ শতাংশ। তবে যুদ্ধবিধ্বস্ত দেশটিতে মাত্র ১৮ শতাংশ মানুষ ইন্টারনেট ব্যবহার করেন।
বাংলাদেশ অ্যাসোসিয়েশন অব সফটওয়্যার অ্যান্ড ইনফরমেশন সার্ভিসেসের (বেসিস) সাবেক সভাপতি ফাহিম মাশরুর বলেন, বড় শহরগুলোর বাইরে ইন্টারনেটের মান খুবই খারাপ। সরকার ডিজিটাল ডিভাইস ও ডাটা কানেকটিভিটি যথেষ্ট সস্তা করতে পারেনি। ট্যাক্স ও ভ্যাট কাঠামো সহায়ক হলে মোবাইল ডাটা সস্তা হতে পারে। বিশ্বব্যাংকের প্রতিবেদনে বাংলাদেশের ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানে আধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহারে বাস্তব দিকটি উঠে এসেছে।