বাংলাদেশ-ভারত মৈত্রী সেতু চালু হচ্ছে এপ্রিলে
আগামী মাসেই ফেনী নদীর ওপর নির্মিত ‘বাংলাদেশ-ভারত মৈত্রী সেতু’ যানবাহন চলাচলের জন্য খুলে দেওয়া হচ্ছে। এ বিষয়ে ত্রিপুরার মুখ্যমন্ত্রী মানিক সাহা গতকাল জানান, শনিবার ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি দক্ষিণ ত্রিপুরায় অত্যাধুনিক স্থলবন্দর সাবরুম উদ্বোধন করার পর এ সম্ভাবনা তৈরি হয়েছে। মোদি এদিন সকালে অরুণাচল প্রদেশের রাজধানী ইটানগরে সাবরুম আইসিপি ভার্চুয়াল সভা থেকে এই স্থলবন্দর উদ্বোধন করেন।
২৫০ কোটি টাকা রুপি ব্যয়ে নির্মিত এ স্থলবন্দরের মাধ্যমে উভয় দেশের পর্যটন, বাণিজ্য এবং সড়ক পথে যোগাযোগ সহজ হবে। এ স্থলবন্দরের মাধ্যমে চট্টগ্রাম বন্দরের সঙ্গে যোগাযোগও ঘনিষ্ঠ হবে। এতে দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার বাণিজ্য সম্ভাবনার দ্বার উন্মুক্ত হবে বলে মুখ্যমন্ত্রী মানিক সাহা জানান।
তিনি আরও উল্লেখ করেন, এ স্থলবন্দরের কারণে চট্টগ্রামের সঙ্গে সাবরুম স্থলবন্দরের দূরত্ব হবে মাত্র ৭৫ কিলোমিটার। পাশাপাশি ১৩৩ কোটি রুপি ব্যয়ে নির্মিত মৈত্রী সেতুর মাধ্যমে স্থলপথে চট্টগ্রাম ছাড়াও মোংলা স্থলবন্দরের যোগাযোগ বৃদ্ধি পাবে। এমনকি চট্টগ্রাম বিমানবন্দরের মাধ্যমেও বাণিজ্য করা যাবে। এ সেতুর কারণে ত্রিপুরার সঙ্গে কলকাতা বন্দরের দূরত্ব হবে মাত্র ১০০ কিলোমিটার, যা আগে ছিল ১ হাজার ৭০০ কিলোমিটার।
উল্লেখ্য, ২০২১ সালের মার্চে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এবং ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ফেনী নদীর ওপর সেতু নির্মাণ কাজের উদ্বোধনের সময় সাবরুম স্থলবন্দরের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেছিলেন। জানা গেছে, এরই মধ্যে বাংলাদেশের রামগড়ে নির্মীয়মাণ স্থলবন্দরের নির্মাণকাজ প্রায় শেষ পর্যায়ে রয়েছে।