চট্টগ্রাম

বাণিজ্য মেলায় ‘মেলা চোর’

নগরের পলোগ্রাউন্ডে চট্টগ্রাম আন্তর্জাতিক বাণিজ্যমেলা ঘিরে চুরির ঘটনা বেড়েছে। দর্শনার্থীরা বলছেন, প্রতিদিনই কারো না কারো মোবাইল ফোন কিংবা ব্যাগ, টাকা বা অন্যান্য জিনিসপত্র চুরি হয়েছে। আইনশৃঙ্খলা বাহিনী বিষয়টি নিশ্চিত করলেও মেলা কর্তৃপক্ষ বলছে, ‘চুরির প্রশ্নই উঠে না’!

ছুটির দিনে মেলার ভিড় থেকে একাধিক মোবাইল চুরির ঘটনা ঘটেছে বলে জানা গেছে।

পুলিশ বলছে, ২৪ ঘণ্টা পুলিশের টিম মোতায়েন রয়েছে মেলা প্রাঙ্গণে। মেলায় যাদের মোবাইল চুরি হয়েছে তাদের অনেকে থানায় অভিযোগ করেছেন। চুরি যাওয়া মোবাইল উদ্ধারের প্রচেষ্টা চলছে।

মেলায় এসে মোবাইল চুরি হয়েছে ইপিজেড এলাকার বাসিন্দা শফি উল্লাহর। সিভয়েস২৪-কে তিনি বলেন, ‘যখন বুঝতে পারি আমার মোবাইল চুরি হয়েছে, আমি সাথে সাথেই মেলার পুলিশ বক্সে অভিযোগ করতে যাই। গিয়ে দেখি আমার মতো আরো তিন-চার জন ভুক্তভোগী পুলিশ বক্সের সামনে দাঁড়িয়ে।’

মেলার মুখ্য ঘোষক হামিদ উদ্দিন বলেন, ‘প্রায় প্রতিদিন আমার কাছে মোবাইল ও অন্যান্য সরঞ্জাম চুরির অভিযোগ আসে। এছাড়া বন্ধের দিনগুলোতে চুরির ঘটনা অনেকটাই বেড়ে যায়।’

কোতোয়ালী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ওবায়দুল হক বলেন, ‘মেলায় ২৪ ঘণ্টার জন্য অইনশৃঙ্খলা বাহিনী মোতায়েন করা হয়েছে। মেলায় বেশ কয়েকটি চুরির অভিযোগ আমরাও পেয়েছি। ভুক্তোভোগীরা থানায় জিডি করেছেন। যারা জিডি করেছেন তাদের হারানো মোবাইল ও অন্যান্য সরঞ্জাম উদ্ধারে অভিযান চলমান।’

তবে মেলায় চুরির ঘটনা অস্বীকার করে বাণিজ্য মেলা কমিটির চেয়ারম্যান একেএম আখতার হোসেন বলেন, ‘মেলায় পর্যাপ্ত সিসি-ক্যামেরা ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনী মোতায়েন করা হয়েছে। চুরির ঘটনায় আমরা কোনো অভিযোগ পাইনি।’

তিনি বলেন, ‘মেলার শৃঙ্খলা ও নিরাপত্তায় আমাদের মনিটরিং সেল রয়েছে। ২৪ ঘণ্টা মনিটরিং সেলে আমাদের কর্মীরা নিয়োজিত। সুতরাং কোনো ভাবেই মেলার ভেতর চুরি-ছিনতাই অথবা বিশৃঙ্খলা ঘটার প্রশ্নই আসে না।’

চট্টগ্রাম চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ড্রাস্ট্রিজ আয়োজিত ৩১তম ‘চট্টগ্রাম আন্তর্জাতিক বাণিজ্য মেলা (সিআইটিএফ)’ শুরু হয় গত ১৫ ফেব্রুয়ারি। ১৬ মার্চ মেলার পর্দা নামার কথা থাকলেও ২৬ মার্চ পর্যন্ত বর্ধিত করা হয়েছে। প্রতিদিন সকাল ১০টা থেকে রাত ১০টা মেলার ফটক খোলা থাকে। জনপ্রতি টিকিটের মূল্য ২০ টাকা।

এবারের মেলায় চার লাখ বর্গফুটের সিআইটিএফে ১৬টি প্রিমিয়ার প্যাভিলিয়ন, ৫৬টি প্রিমিয়ার স্টল, ৯৪টি গোল্ড, ৪৮টি মেগা স্টল, ১১টি ফুড স্টল ও ৩টি জোনে ৪০০ স্টলে তিন শতাধিক প্রতিষ্ঠান অংশ নিয়েছে। এর মধ্যে ভারত, থাইল্যান্ড, ইরানের উদ্যোক্তা ও ব্যবসায়ীরা পণ্য প্রদর্শন করছেন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *