বান্দরবানে ধান খেতের কীটনাশকে শতাধিক পাখীর মৃত্যু
বান্দরবানের আলীকদমে ধান খেতে দেয়া কীটনাশকে আক্রান্ত হয়ে অর্ধশতাধিক পাখির মৃত্যু হয়েছে।
বনবিভাগ ও স্থানীয়দের তথ্যমতে, আলীকদম উপজেলার চৈক্ষ্যং ইউনিয়নের পাট্টাখাইয়া গ্রামে বাসিন্দার ঞোমং হেডম্যানের ধান খেতে পোকামাকড় খেতে জড়ো হওয়া ছোট বড় অসংখ্য পাখীর মৃত্যু হয়েছে কীটনাশকে।
ধান কেটে নেয়ার খেতে ছড়িয়ে ছিটিয়ে মরে পড়ে রয়েছে অর্ধশতাধিকের বেশি পাখী। চটপট করতে করতে পাখীগুলো মারা গেছে।
প্রত্যক্ষদর্শী স্থানীয় কবি এমডি জিয়াবুল বলেন, বৈচিত্র্যময় প্রাকৃতির ভারসাম্য রক্ষা ও ইকো সিস্টেমকে বাঁচিয়ে রাখার স্বার্থে পাখির প্রতি যত্নবান ও দায়িত্বশীল আচরণ করা জরুরি। এদের অবাধ বিচরণ ও প্রজননের ব্যাপারে সবার যত্নশীল হওয়া উচিত-কিন্তু তা না করে তার ওপর কিছু মানুষ পাখি নিধনের কাজে ব্যস্ত হয়ে ওঠে।
পাখির আবাসস্থল ধ্বংসের পাশাপাশি প্রকৃতির বিরূপ আচরণে পাখিদের সংখ্যা দিনদিন হ্রাস পাচ্ছে। পাখী বাঁচতে সরকারের কঠোর পদক্ষেপ নেয়ার দাবি জানান তিনি।
বিষয়টি নিশ্চিত করে লামা বন বিভাগের আলীকদম তৈন রেঞ্জ কর্মকর্তা জুলফিকার আলী জানান, পাখিরা আমাদের পরিবেশের এক বড় সম্পদ। তারা শুধু পরিবেশের সৌন্দর্যই বৃদ্ধি করে না, বনের খাদ্যশৃঙ্খলে স্বাভাবিক ধারা বজায় রাখা, ক্ষতিকর কীটপতঙ্গ নিয়ন্ত্রণ, উদ্ভিদের পরাগায়ন ও বীজের বিস্তারে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রয়েছে পাখির।
এরা জলজ পোকা, ধানের পোকা খেয়ে কৃষকের উপকার করে থাকে। পাখি প্রকৃতি ও মানুষের পরম বন্ধু। পাখির ডাকে ভোর হয় আবার পাখির কলকাকলিতে পৃথিবীর বুকে সন্ধ্যা নেমে আসে। বন্যপ্রাণী সংরক্ষণ ও নিরাপত্তা আইন, ২০১২ অনুযায়ী পাখি শিকার, হত্যা, আটক ও ক্রয়-বিক্রয় দণ্ডনীয় অপরাধ। এর শাস্তি দুই বছরের কারাদণ্ড এবং ২ লাখ টাকা জরিমানার বিধান রয়েছে। বিষয়টি তদন্ত করে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেয়া হবে।