বান্ধবীর সহযোগিতায় অপরহণ-ধর্ষণ, ছয় মাস পর উদ্ধার
নগরীতে স্কুলে যাওয়ার উদ্দেশ্যে বের হয়ে ঘরে ফিরলে না এক নবম শ্রেণীর ছাত্রী। খোঁজ না পেয়ে থানায় নিখোঁজ ডায়েরি করেছিলেন অভিভাবক। ছয় মাস পর খুলশী থানার অভিযানে উদ্ধার হলো ভিকটিম। ভিকটিমের দেওয়া জবানবন্দিতে বের হলো আসল রহস্য। অপরহণে সহযোগিতাকারী আলমগীর হোসেন মিয়াজী নামে একজনকে গ্রেপ্তার করেছে খুলশী থানা পুলিশ।
শনিবার (২৫ নভেম্বর) থানা সূত্রে জানা যায়, ভিকটিমের দেওয়া জবানবন্দির ভিত্তিতে তথ্য প্রযুক্তি ব্যবহার করে গত নভেম্বরের ২৪ তারিখ অভিযুক্ত আলমগীরকে কুমিল্লা থেকে গ্রেপ্তার করা হয়।
এ বিষয়ে খুলশী থানার ওসি রুবেল হাওলাদার জানান, কুমিল্লার চান্দিনা থানাধীন পরচঙ্গা বাজারে অভিযান চালিয়ে ভিকটিমকে উদ্ধার করা হয়। পরবর্তীতে ভিকটিম আদালতে ২২ ধারায় জবানবন্দীতে উল্লেখ করেন যে, বিবাদি আলমগীর হোসেন মিয়াজী তার বান্ধবীর (এজাহারনামীয়) সহযোগিতায় ডাবের পানি খাইয়ে তাকে অজ্ঞান করে কুমিল্লা নিয়ে গিয়ে বিবাদির বাড়িতে ধর্ষণ করে।
ভিকটিমের ২২ ধারা পর্যালোচনা করে বিবাদির নাম ঠিকানা সংগ্রহ করে তথ্য প্রযুক্তির সহযোগিতায় নভেম্বরের ২৪ তারিখ কুমিল্লার চান্দিনা থানাধীন পরচঙ্গা বাজারে অভিযান পরিচালনা করে বিবাদী মোঃ আলমগীর হোসেন মিয়াজীকে গ্রেফতার করে আদালতে সোপর্দ করা হয়।
থানা সুত্রে জানা যায়, মামলার ভিকটিম একজন ৯ম শ্রেণির ছাত্রী। যিনি চলতি বছরের মে এর ১৮ তারিখ বিদ্যালয়ে যাওয়ার উদ্দেশ্যে বের হয়ে আর ফিরে না আসায় তার মা হয়ে প্রথমে খুলশী থানায় নিখোঁজ ডায়েরি করেন এবং পরবর্তীতে বাদি হয়ে খুলশী থানায় ‘নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইন আইনে একটি মামলা দায়ের করেন।