চট্টগ্রামরাজনীতি

বিএনপির প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীতে চট্টগ্রামে চার দিনের কর্মসূচি ঘোষণা

দলের ৪৬তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীতে চারদিনের কর্মসূচি ঘোষণা করেছে চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির। মঙ্গলবার (২৭ আগষ্ট) বিকালে কাজীর দেউরী নাসিমন ভবনস্থ দলীয় কার্যালয়ের মাঠে অনুষ্ঠিত প্রস্তুতি সভা থেকে এ কর্মসূচি ঘোষণা করা হয়। কর্মসূচির প্রথম দিন ৩১ আগষ্ট শনিবার সকালের ১১ টায় নাসিমন ভবনস্থ দলীয় কার্যালয় থেকে রাঙ্গুনিয়ায় শহীদ জিয়ার কবর জিয়ারত করে শ্রদ্ধা নিবেদন করবে নেতাকর্মীরা।

পরদিন ১ সেপ্টেম্বর রবিবার বিকাল ৩ টায় কাজীর দেউরী ইন্টারন্যাশনাল কনভেনশন হলে স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরীকে প্রধান অতিথি করে আলোচনা সভাার আয়োজন করা হয়েছে। এছাড়া একইদিন সকালে দলীয় কার্যালয়সহ ৪৩ টি ওয়ার্ডের কার্যালয়গুলোতে দলীয় পতাকা উত্তোলন এবং মাইকে শহীদ জিয়া ও বেগম খালেদা জিয়ার ভাষণ প্রচার করবে।

২ সেপ্টেম্বর সোমবার সকাল ১১ টায় নাসিমন ভবনস্থ দলীয় কার্যালয়ের সামনে থেকে প্রতিষ্ঠা বার্ষিকীর বর্নাঢ্য র‍্যালি শুরু হবে।

৩ সেপ্টেম্বর মঙ্গলবার বাদে আসর দলীয় কার্যালয় সংলগ্ন জামে মসজিদে বিগত ১৫ বছরে আন্দোলন সংগ্রামে নিহত ও সাম্প্রতিক বন্যায় হতাহতদের জন্য দোয়া মাহফিল। অনুরূপভাবে ৪৩ টি ওয়ার্ডের মসজিদেও সুবিধামত সময়ে এই কর্মসূচী পালিত হবে।

প্রস্তুতি সভায় সভাপতির বক্তব্যে এরশাদ উল্লাহ বলেন, বিএনপি গণতন্ত্রের জন্য সবচেয়ে বেশি ত্যাগ স্বীকার করেছে। আজকে ছাত্র জনতার বিপ্লবের মধ্য দিয়ে ফ্যাসিস্ট শেখ হাসিনা পালিয়ে যেতে বাধ্য হয়েছে। এখন আমাদের সামনে কিন্তু বড় সংগ্রাম, বড় লড়াই। সেই লড়াইটা এই বিপ্লবের বিজয়কে সুসংহত করা। এই বিজয়কে যদি আমরা সুসংহত করতে না পারি আবার কিন্তু নব্য ফ্যাসিবাদ এসে হাজির হবে, এটা আমাদের মাথায় রাখতে হবে। আজকে কেউ যদি সন্ত্রাস করতে চায়, কেউ যদি চাঁদাবাজি বা অন্য কিছু করে, ক্ষতি করতে চায়, সেটা আমাদের রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দকে রুখে দিতে হবে, প্রতিরোধ করতে হবে।

সদস্য সচিব নাজিমুর রহমান বলেন, সর্বক্ষেত্রে আইনশৃঙ্খলা যারা ভণ্ডুল করবে তাদেরকে প্রতিহত করতে হবে এবং ভণ্ডুলকারীদেরকে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর হাতে তুলে দিতে হবে। এ ব্যাপারে আমরা কোনো রকম বিশৃঙ্খলা সহ্য করবো না। বিএনপি সমস্ত অন্যায়কে প্রতিহত করবে।

এতে উপস্থিত ছিলেন মহানগর বিএনপি নেতা এম এ আজিজ, সৈয়দ আজম উদ্দিন, এস কে খোদা তোতন, হারুন জামান, অধ্যাপক নুরুল আলম রাজু, এস এম আবুল ফয়েজ, এস এম সাইফুল আলম, কাজী বেলাল উদ্দিন, আর ইউ চৌধুরী শাহীন, ইয়াছিন চৌধুরী লিটন, জাহাঙ্গীর আলম দুলাল, আবুল হাশেম, আনোয়ার হোসেন লিপু, মন্জুর আলম চৌধুরী মন্জু, মো. কামরুল ইসলাম, থানা বিএনপির সভাপতি মন্জুর রহমান চৌধুরী, মামুনুল ইসলাম হুমায়ুন, হাজী বাবুল হক, মো. আজম, হাজী মো. সালাউদ্দীন, মোশাররফ হোসেন ডেপটি, আবদুস সাত্তার সেলিম, মো. সেকান্দর, আবদুল্লাহ আল হারুন, ডা. নুরুল আবছার, থানা সাধারণ সম্পাদক আলহাজ্ব জাকির হোসেন, মো. শাহাবুদ্দীন, হাজী বাদশা মিয়া, জসিম উদ্দিন জিয়া, মাঈনুউদ্দীন চৌধুরী মাঈনু, আবদুল কাদের জসিম, রোকন উদ্দিন মাহমুদ, নুর হোসাইন, জাহাঙ্গীর আলম, গিয়াস উদ্দিন ভূইয়া, বিভাগীয় শ্রমিকদলের সাধারণ সম্পাদক নুরুল্লাহ বাহার, মহানগর স্বেচ্ছাসেবক দলের সাধারণ সম্পাদক বেলায়েত হোসেন বুলু, কৃষক দলের সদস্য সচিব কামাল পাশা নিজামী, তাতীদলের আহবায়ক মনিরুজ্জামান টিটু, জাসাসের আহবায়ক এম এ মুছা বাবলু, যুবদলের সি. যুগ্ম সম্পাদক মোশারফ হোসেন, ছাত্রদলের আহবায়ক সাইফুল আলম, সদস্য সচিব শরিফুল ইসলাম তুহিন, মৎস্যজীবী দলের আহবায়ক নুরুল হক, সদস্য সচিব এড. আবদুল আজিজ প্রমুখ।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *