জাতীয়

বিএনপির সমাবেশ থেকে সাংবাদিকদের ওপর হামলার বিচারের দাবিতে মানববন্ধন

গত ২৮ অক্টোবর বিএনপির মহাসমাবেশের দিন গণমাধ্যমকর্মীদের ওপর হামলাকারীদের বিচারের দাবিতে মানববন্ধন করেছেন আহত সাংবাদিক ও জ্যেষ্ঠ নেতারা। তারা বলেন, সাংবাদিকদের ওপরে নির্বিচারে হামলা হয়েছে কিন্তু দু’মাসেও কোনও ব্যবস্থা নেয়নি প্রশাসন। অপরাধীদেরকে চিহ্নিত করে দ্রুত আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানান তারা।

জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে বিএনপির সমাবেশে সাংবাদিকদের ওপর হামলার ঘটনায় জড়িতদের বিচারের দাবিতে মানববন্ধনে এসব কথা বলেন নির্যাতিত সাংবাদিকরা।

হামলার শিকার সাংবাদিকেরা বলেন, ‘আমাদের উপর যারা প্রকাশ্যে হামলা চালিয়েছে তাদের ফুটেজ আছে, কিন্তু এখন পর্যন্ত কাউকে গ্রেফতার করা হয়নি। আমাদের উপরে যারা হামলা চালিয়েছে তাদের বিরুদ্ধে সরকার যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ করবে বলে বিশ্বাস রাখতে চাই।’

বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়নের (বিএফইউজে) মহাসচিব দীপ আজাদ বলেন, ‘যারা সাংবাদিকদের ওপর নির্মমভাবে হামলা করেছে প্রশাসন যাতে তাদেরকে চিহ্নিত করে দ্রুত আইনের আওতায় নিয়ে আসে।’ হামলাকারীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির ব্যবস্থা করতে হবে বলেও দাবি জানান তিনি।

ব্রডকাস্ট জার্নালিস্ট সেন্টারের (বিজেসি) সদস্য সচিব শাকিল আহমেদ বলেন, ‘সাংবাদিকদের ওপর যারা আক্রমণ করেন, তার প্রতিবাদটাও সেভাবে দিতে হবে। একটি রাজনৈতিক দলের সমাবেশের খবর সংগ্রহ করতে গিয়ে সাংবাদিকরা হামলার শিকার হয়েছেন। তাদের মাথায় আঘাত করে হত্যার চেষ্টা করা হয়েছে। অথচ দু’মাস হয়ে গেছে, এর বিচার তো দূরের কথা আইনানুগ কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি।’ দোষীদের চিহ্নিত করে তাদের বিচারের মুখোমুখি করার দাবি জানান তিনি।

মানববন্ধনে নির্যাতিত সাংবাদিকদের পক্ষে জাতীয় প্রেস ক্লাবের সাধারণ সম্পাদক শ্যামল দত্ত বলেন, ‘গণমাধ্যম যাতে স্বাধীনভাবে কাজ করতে পারে এবিষয়ে আমরা বহুবার বলেছি এবং এটি নিশ্চিত করার দায়িত্ব সকল রাজনৈতিক দলের। যারা সাংবাদিকদের উপরে নির্বিচারে হামলা করেছে তাদের বিরুদ্ধে এখন পর্যন্ত কোনও ব্যবস্থা প্রশাসনের পক্ষ থেকে নেওয়া হয়নি। অপরাধীদেরকে চিহ্নিত করে যাতে আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা করা হয় আমরা তার দাবি জানাই।’ এব্যাপারে ব্যবস্থা নেয়া হবে বলে প্রধানমন্ত্রী আশ্বস্ত করেছেন বলেও জানান তিনি।

মানববন্ধনে বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়নের সভাপতি ওমর ফারুক বলেন, ‘গত ২৮ অক্টোবর সাংবাদিকদের ওপরে বিএনপি হামলা করে প্রমাণ করেছে তারা একটি সন্ত্রাসী দল। বিএনপি এখন আর রাজনৈতিক দল নয়। তারা যদি রাজনৈতিক দল হতো তাহলে কখনোই এভাবে সাংবাদিকদের উপরে হামলা করতে পারতো না।’

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *