বিদ্যুৎ-জ্বালানি খাতের সব কোম্পানি পুনর্গঠন হবে: জ্বালানি উপদেষ্টা
বিদ্যুৎ ও জ্বালানি খাতের সব কোম্পানি পুনর্গঠন হবে। পরিচালনা পর্ষদে থাকবেন ছাত্র প্রতিনিধিরা। বুধবার (২৮ আগস্ট) বিকালে বিদ্যুৎ ও জ্বালনি বিষয়ক উপদেষ্টা মুহাম্মদ ফাওজুল কবির খান পেট্রোবাংলার কর্মকর্তাদের সঙ্গে আলোচনার পর সাংবাদিকদের এ কথা বলেন।
উপদেষ্টা বলেন, কোম্পানির বোর্ডে অপরিহার্য না হলে সচিব থাকবেন না। যদিও এখন প্রায় সব কোম্পানির বোর্ডে চেয়ারম্যান হিসেবে সচিবরা দায়িত্ব পালন করেন। তিনি বলেন, প্রধান উপদেষ্টা বলেছেন, আমারা সবাই সম্পদের হিসাব দেবো। আমাদের সংস্থা প্রধানরাও সম্পদের হিসাব দেবেন। তিনি বলেন, আমাদের টাকা দিয়ে কোনও কাজ হাসিল করা যাবে না। কিন্তু কেউ যদি এরপরও মনে করেন, আমাদের টাকা দেবেন তাহলে আসতে পারেন, আমরা টাকা নিয়ে রিসিট দিয়ে দেবো। দেশি টাকা হলে দেশি টাকার রিসিট দেবো, আর ডলার হলে ডলারের রিসিট পাবেন। তিনি বলেন, আমি কর্মজীবনের শুরুতে শুল্ক বিভাগে কাজ করেছি। এরপর ইডকলে কাজ করেছি। বিদ্যুৎ সচিব হিসেবেও কাজ করেছি। আমাকে টাকা দিয়ে কেনা যাবে না।
বিদ্যুৎ এবং গ্যাস আমদানির দিকে ইঙ্গিত করে উপদেষ্টা বলেন, আমরা যা কিছুই কিনি বেশি দামে কিনি। ভারত আমাদের চেয়ে কমদামে গ্যাস-বিদ্যুৎ কেনে। আবার কেনার সময় অনেক ক্ষেত্রে ডিসকাউন্ট পেয়ে থাকেন। কিন্তু আমরা সেই ডিসকাউন্ট পাই না কেন, বলে প্রশ্ন রাখেন তিনি।
দেশের সবনাগরিক সমহারে বিদ্যুৎ- জ্বালানি পাবেন। উপদেষ্টা বলেন, যারা ঢাকায় বসবাস করেন তারা মানুষ, আর অন্য এলাকার মানুষ না, এটা হতে পারে না। গ্যাস-বিদ্যুৎ যদি রেশনিং করতে চান, তাহলে আগে আমার বাড়ি থেকে করেন। তিনি বলেন, আমি খুলনা যাবো সেখানে দেখবো, সাধারণ মানুষ কেমন গ্যাস ও বিদ্যুৎ পাচ্ছেন, সেখানে আমি নিজেই দেখবো। দেখে সন্তোষজনক হলেই আমি মনে করবো, ভালো কাজ হচ্ছে।
তিনি বলেন, খুলনাতে আমরা একটি ৮৮০ মেগাওয়াটের বিদ্যুৎ কেন্দ্র নির্মাণ করছি, কিন্তু সেখানে আমরা গ্যাস দিতে পারছি না। এটা কোন ধরনের পরিকল্পনা হলো। গ্যাসের সংস্থান না করেই বিদ্যুৎকেন্দ্র কেন নির্মাণ করা হলো।
তিনি বলেন, আমরা শুরুতে এসেই বিদ্যুৎ ও জ্বালানি দ্রুত সরবরাহ বিশেষ আইন ২০১০ বাতিল করেছি। এখন থেকে কাজ পেতে হলে উন্মুক্ত প্রতিযোগিতার মাধ্যমে পেতে হবে।
তিনি বলেন, আপনার ইচ্ছা হলে আপনি আপনার টাকা দিয়ে বেশি দামে রুই মাছ কিনতে পারেন। কিন্তু রাষ্ট্রের ক্ষেত্রে এমন হতে পারে না। মানুষ বিদ্যুতের নাম নিয়ে বিরক্ত। এমনকি আমি নিজেই বিরক্ত। তিনি বলেন, ২০১০ সালের আইনের ফলে বিদ্যুতের দাম বেড়ে গেছে। গণশুনানি না করেই বিদ্যুতের দাম বাড়ানোর নীতি নিয়েছিল সাবেক সরকার। আমরা সেটি বাতিল করেছি। সাবেক সরকারের সব কিছুই খারাপ বলে আমরা মনে করি না। আমরা তাদের সমালোচনা না করে সামনে এগিয়ে যেতে চাই।