আন্তর্জাতিক

বিমান থেকে ফেলা ত্রাণ নিতে গিয়ে সাগরে ডুবে ১২ ফিলিস্তিনির মৃত্যু

ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ ভূখণ্ড গাজায় বিমান থেকে ফেলা ত্রাণ নিতে গিয়ে সাগরে ডুবে ১২ ফিলিস্তিনির মৃত্যু হয়েছে। এছাড়া ত্রাণের বস্তা মাথায় পড়ে ১২ জন এবং পদদলিত হয়ে আরও ছয়জনের মৃত্যু হয়েছে।

মঙ্গলবার (২৬ মার্চ) ফিলিস্তিনের স্বাস্থ্য-বিষয়ক কর্তৃপক্ষ এ তথ্য জানিয়েছে। খবর রয়টার্সের।

একটি ভিডিওতে দেখা যায়, উত্তর গাজার বেইত লাহিয়া সমুদ্র সৈকতে অনেক মানুষ বিমান থেকে সমুদ্রে পড়ে যাওয়া ত্রাণ সংগ্রহের জন্য দৌড়াচ্ছেন। আর কিছু মানুষকে সমুদ্র থেকে মরদেহ তুলতে দেখা গেছে।

পেন্টাগনের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, সোমবার (২৫ মার্চ) গাজায় বিমানের সাহায্য ফেলা ১৮টি ত্রাণের বান্ডিলের মধ্যে তিনটি প্যারাসুটের ত্রুটির কারণে সাগরে পড়ে যায়। তবে এসব ত্রাণ সংগ্রহ করতে গিয়ে কারও মৃত্যু হয়েছে কি না সে বিষয়ে তারা নিশ্চিত হতে পারেনি।

গত ৭ অক্টোবর ইসরায়েলে নজিরবিহীন হামলা চালায় হামাস। এর জবাবে সেদিন থেকেই গাজায় বিমান হামলা শুরু করে দখলদার ইসরায়েল। পাশাপাশি স্থল অভিযানও চালানো হয়। পাঁচ মাসের বেশি সময়ে ফিলিস্তিনি ছিটমহলটি ধ্বংসস্তূপে পরিণত হয়েছে। পানি, খাবার ও নিরাপদ স্থানের অভাবে গাজাবাসী ক্রমাগত মরিয়া পরিস্থিতির মুখোমুখি হচ্ছে।

গাজায় ইসরায়েলের টানা ৪৭ দিনের হামলার পর গত বছরের ২৪ নভেম্বর প্রথম দফায় চার দিনের যুদ্ধবিরতি কার্যকর হয়। এ যুদ্ধবিরতিতে মধ্যস্থতা করে কাতার, মিসর ও যুক্তরাষ্ট্র। এরপর দুই দফায় মোট তিন দিন বাড়ানো হয় যুদ্ধবিরতির মেয়াদ।

সাত দিনের যুদ্ধবিরতি শেষ হতে না হতেই আবারও গাজায় আবার হামলা শুরু করে ইসরায়েল। এর পাশাপাশি স্থল অভিযানও চালানো হচ্ছে।

ইসরায়েলি বাহিনীর এমন আচরণে বিশ্বজুড়ে সমালোচনা শুরু হয়েছে। যুদ্ধ বন্ধের বদলে গত রোববার মিশরের সীমান্তবর্তী রাফা শহরে স্থল অভিযানের হুমকি পুনর্ব্যক্ত করেছেন ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী নেতানিয়াহু। যেখানে হামলার মুখে গাজার অন্যান্য এলাকা থেকে প্রায় ১০ লাখের বেশি বাস্তুচ্যুত ফিলিস্তিনি আশ্রয় নিয়েছেন।

কঠোর অবরোধ ও অবিরাম হামলার মধ্যে থাকা গাজাবাসীরা অনাহারে ভুগতে ভুগতে দুর্ভিক্ষের প্রান্তে চলে গেছে। ইতোমধ্যেই অপুষ্টি ও পানিশূন্যতায় শিশুসহ অনেকের মৃত্যু হয়েছে। ক্ষুধায় বেপরোয়া হয়ে ওঠা লোকজন ত্রাণের জন্য হাহাকার করছে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *