চট্টগ্রাম

বিয়ের নয় বছর পর কন্যাসহ স্ত্রীকে অস্বীকার

কাবিননামা ছাড়াই বিয়ের ৯ বছর এক খ্রিস্টান নারীর সঙ্গে সংসার করার পর ঔরসজাত কন্যাকে-সহ অস্বীকার করছেন নাইম রহমান (৩৪) নামে এক যুবকের বিরুদ্ধে।

বুধবার (৬ ডিসেম্বর) এ অভিযোগে ওই যুবকের বিরুদ্ধে চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট জুয়েল দেবের আদালতে টিনা রিভারো নামে এক ভুক্তভোগী।

অভিযুক্ত নাইম রহমান কোতোয়ালী থানার ১৯ নম্বর বান্ডেল রোড এলাকার মাহাবুর রহমানের ছেলে।

মামলার বাদী পক্ষের আইনজীবী অ্যাডভোকেট আসাদুজ্জামান খাঁন বলেন, কোনো রকম কাবিননামা ছাড়াই অভিযুক্ত নাইম আমার মক্কেলের সঙ্গে সংসার করার পর ঔরসজাত কন্যাকে-সহ অস্বীকার করেছেন।

আদালতে মামলার আবেদন করলে আদালত শুনানি শেষে মামলাটি গ্রহণ করে কোতোয়ালী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাকে (ওসি) তদন্ত করে প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশ দিয়েছেন।

মামলার এজাহারে উল্লেখ করা হয়, ‍ভুক্তভোগী নারী জন্মসূত্রে খ্রিষ্টান ধর্মাবলম্বী। ২০০৮ সালে নাইম রহমানের সঙ্গে তার প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। প্রেমের সম্পর্ক থেকে ২০১৪ সালে পরিবার-পরিজন ছেড়ে তিনি নাইমের সঙ্গে চলে যাই। ওই সময় নাইম তাকে একটি বাড়িতে নিয়ে যায়। সেখানে একজন মাওলানা ডেকে প্রথমে তিনি ভুক্তভোগীকে ধর্মান্তরিত করেন। এরপর মাওলানা সাহেব বিয়ে পড়ান। ওই সময় নারীর কাছ থেকে একটি কাগজে সই নেওয়া হয়। তবে কি রকম কাগজে সই নেওয়া হয়েছিল সেটি ভুক্তভোগী জানতেন না। একপর্যায়ে ভুক্তভোগীকে নাইম বলে তাদের মধ্যে বিয়ে হয়ে গেছে।

এ বিষয়ে ভুক্তভোগী নারী টিনা রিভারো বলেন, পরিবার-পরিজন সব ছেড়ে আমি নাইমের সঙ্গে সংসার শুরু করি। তার সবকিছু আমি বিশ্বাস করেছি। অথচ তিনি আমাকে এবং আমার কন্যাকে অস্বীকার করছেন। আমার কন্যার বয়স ৭ বছর। তাকে স্কুলে ভর্তি করাতে পারছি না। এখন নাইম বলছে সে আমাকে বিয়ে করেনি। তার কোনো সন্তান নেই। আমাদের বিয়ের সময় নাকি কোনো কাবিন করা হয়নি। অর্থাৎ সে আমার সঙ্গে বড় ধরনের প্রতারণা করে সংসার করেছে। এ নিয়ে কয়েক বছর আগে আমি একটি মামলাও করেছি। মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ও সমাজসেবা কর্মকর্তা তার কাবিন রেজিস্ট্রি না থাকাসহ নানা বিষয় উল্লেখ করে একটি প্রতিবেদন দিয়েছেন। যদিও প্রভাবশালী হওয়ায় সে মামলায় তিনি আগেভাগে জামিন নিয়ে নিয়েছেন। বর্তমানে আদালত অঙ্গনে আমি বিচারের আশায় দিনের পর দিন ঘুরছি।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *