জাতীয়

বিরোধী দল জাতীয় পার্টি, নাকি স্বতন্ত্র?

দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছে ৭ জানুয়ারি। এই নির্বাচনে ২৯৮ আসনের (২টি আসন স্থগিত) মধ্যে ২২২টিতে আওয়ামী লীগের নৌকা প্রার্থী বিজয়ী হয়েছেন। আর বর্তমান সংসদের বিরোধী দল জাতীয় পার্টি (জাপা) মাত্র ১১টি আসনে জয় পেয়েছে। কিন্তু জাপাকে পেছনে ফেলে স্বতন্ত্র প্রার্থীরা বিজয়ের দিক থেকে এগিয়ে রয়েছে। যদিও স্বতন্ত্র জয়ীদের অধিকাংশই আওয়ামী লীগের (৫৮ জন)। তবে দ্বাদশ নির্বাচনে জাতীয় সংসদের বিরোধী দল কারা হবে, আর বিরোধী দলীয় নেতাই বা কে হচ্ছেন, তা নিয়ে রাজনৈতিক মহলে চলছে চুলচেরা বিশ্লেষণ। চায়ের দোকান থেকে শুরু করে সর্বমহলে এখন বিরোধী দল নিয়েই যত আলাপ-আলোচনা।

সংসদে বিরোধী দল কিংবা বিরোধীদলীয় নেতা নির্বাচনের বিষয়ে দেশের সংবিধানে কিছু বলা নেই। এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়ার এখতিয়ার সংসদের স্পিকারের। সংসদের কার্যপ্রণালি বিধির ২(১)(ট)-তে বলা বলা হয়েছে, ‘বিরোধীদলীয় নেতা’ বলতে স্পিকারের বিবেচনামতে যে সংসদ সদস্য সংসদে সরকারি দলের বিরোধিতাকারী সর্বোচ্চ সংখ্যক সদস্য লইয়া গঠিত, ক্ষেত্রমতে দল বা অধিসঙ্গের নেতা।

নির্বাচনে জয়ের পরদিন সোমবার বিকেলে গণভবনে দেশি-বিদেশি সাংবাদিকদের সঙ্গে সৌজন্য বিনিময় করেন শেখ হাসিনা। সেখানে বিদেশি সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে আওয়ামী লীগের সভাপতি শেখ হাসিনা বলেন, ‘আপনি কি চান আমি একটি বিরোধী দল গঠন করি? আমি তা করতে পারি? আমি নিজেও বিরোধী দলে ছিলাম দীর্ঘ সময়। আমরা আমাদের দল গঠন করেছি। বিরোধীদেরও তা করতে হবে। আপনি যদি তা করতে ব্যর্থ হন, তাহলে তার জন্য কে দায়ী?’

দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনে বিজয়ীদের মধ্যে শতকরা ২০ ভাগের মতো স্বতন্ত্র প্রার্থী জয় পাওয়ায় আইন বিশেষজ্ঞরা বলছেন, স্বতন্ত্র প্রার্থীরা ঐক্য করলে তারাও বিরোধী দল হতে পারে। আবার বিরোধী দলের আসনে কারা বসছে, তা নিয়ে জল্পনা-কল্পনার মধ্যে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেছেন, ‘লিডার অব দ্য হাউস অর্থাৎ যিনি নতুন প্রধানমন্ত্রী হবেন, তিনিই এ ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নেবেন।’

প্রধানমন্ত্রীকে জাপানের অভিনন্দন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *