বিলুপ্তপ্রায় সাম্বার হরিণ জবাই করে মাংস ভাগাভাগি
রাঙামাটির লংগদু উপজেলায় ভাসান্যদম ইউনিয়নে একটি বিলুপ্তপ্রায় সাম্বার হরিণ ধরে জবাই করা হয়েছে। জবাইয়ের পর হরিণের মাংস ভাগাভাগির সময়ে মো. সাইদুল ইসলাম (৪৫) নামে একজনকে হাতেনাতে আটক করেছে বন বিভাগ।
বৃহস্পতিবার (৭ মার্চ) উপজেলার ভাসান্যদম ইউনিয়নের ভাসান্যদম বিদ্যালয়ের পেছনে মো. সাইদুল ইসলামের বাড়ি থেকে সাম্বার হরিণের ২৫ কেজি কাটা মাংস, মাথা-চামড়াসহ দেহের বিভিন্ন অংশ উদ্ধার করে বন বিভাগ। এ ঘটনায় জড়িত মো. সাইদুল ইসলাম ভাসান্যদম ইউনিয়নের মৃত মো. জসিম উদ্দিনের ছেলে। পরে তাকে আটক করে বন্যপ্রাণী (সংরক্ষণ ও নিরাপত্তা) আইনের মামলায় আদালতে পাঠায় বন বিভাগ।
এদিকে, বিলুপ্তপ্রায় সাম্বার হরিণ হত্যার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন পার্বত্য চট্টগ্রাম উত্তর বন বিভাগের বিভাগীয় বন কর্মকর্তা (ডিএফও) মো. রেজাউল করিম চৌধুরী। ডিএফও রেজাউল বলেন, ‘বৃহস্পতিবার সকাল ৯টার দিকে আমরা ভাসান্যদমে সাম্বার হরিণ ধরে জবাইয়ের খবর পাই। পরে কাচালং রেঞ্জ ও পাবলাখালী রেঞ্জের রাঙ্গিপাড়া বিটের বন কর্মীরা ঘটনাস্থলে গিয়ে হরিণ জবাই করে ভাগাভাগির সময়ে ঘটনায় জড়িত সাইদুলকে হাতেনাতে আটক করে। অভিযানে বিজিবির সদস্য সহযোগিতা করেছে।’
তিনি আরও বলেন, সাম্বার হরিণের মধ্যে বিলুপ্তপ্রায় একটি প্রজাতি। এ ঘটনায় মামলায় হয়েছে এবং আসামি সাইদুল আদালতে পাঠানো হয়েছে। বন্যপ্রাণী (সংরক্ষণ ও নিরাপত্তা) আইন ২০১২ এর ৩৭ ধারায় এই অপরাধে তিন লাখ অর্থদণ্ড, তিন বছরের কারাদণ্ড ও উভয়দণ্ডে দণ্ডিত হওয়ার বিধান রয়েছে বলেও উল্লেখ করেন তিনি।
স্থানীয়রা বলছেন, মো. সাইদুল ইসলাম এর আগেও বিভিন্ন সময়ে বন্যপ্রাণী ধরে জবাই করে বিক্রি করতো। তবে বন বিভাগের কাছে সাইদুল দাবি করেছে, তার ফসলের ক্ষেতের আইলে দেয়া জালে বুধবার রাতে আটকে যায় সাম্বার হরিণটি। পরে মুমুর্ষ অবস্থায় হরিণটিকে জবাই করে সাইদুল।