বিশ্বকাপের আগে বাংলাদেশের জন্য স্বস্তি
বিশ্বকাপে বাংলাদেশের প্রথম ম্যাচেই প্রতিপক্ষ শ্রীলঙ্কা। নিকট অতীতে লঙ্কানদের সঙ্গে বাংলাদেশের প্রতিদ্বন্দ্বীতা জমে উঠেছে বেশ। টাইমড আউট, নাগিন ড্যান্স আরও অনেক ইস্যুতেই বাংলাদেশ আর শ্রীলঙ্কার মধ্যেকার সূচিতে আছে বাড়তি উত্তাপ। এবারের বিশ্বকাপেও আছে দুই দলের লড়াই। সেই লড়াইয়ে অবশ্য বাংলাদেশের জন্য আগাম এক সুখবরই যেন দিয়ে রাখল লঙ্কানরা।
৩ জুন নিউ ইয়র্কে দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে ম্যাচ দিয়ে বিশ্বকাপ শুরু করবে শ্রীলঙ্কা। বাংলাদেশের জন্য বিশ্বকাপ শুরু খানিক দেরিতে। ৮ তারিখে লঙ্কানদের বিপক্ষে ম্যাচ দিয়ে বিশ্বকাপ মিশন শুরু হবে টাইগাররা। তবে, সেই ম্যাচের আগে লঙ্কানরা তাদের সেরা বোলারকে পাবে কি না তা নিয়েই আছে প্রশ্ন।
শ্রীলঙ্কার ডেথ ওভারের বড় ভরসা মাথিশা পাথিরানা। বর্তমানে হ্যামস্ট্রিংয়ের চোটে ভুগছেন এই পেসার। তারপরেও অবশ্য তাকে বিশ্বকাপের দলে নিয়েছে লঙ্কান নির্বাচকরা। যদিও বিশ্বকাপের শুরুর সপ্তাহে তাকে পাওয়া নিয়ে আছে প্রশ্ন। বাংলাদেশের বিপক্ষে ম্যাচেও আছে শঙ্কা।
অবশ্য শ্রীলঙ্কার প্রধান নির্বাচক উপুল থারাঙ্গা আশাবাদী পাথিরানা সেরে ওঠার ব্যাপারে, ‘ডেথ ওভারে সে আমাদের গুরুত্বপূর্ণ বোলার। আমাদের হাতে কিছুটা সময় আছে। আশা করছি টুর্নামেন্টের আগেই সে ফিট হয়ে যাবে।’
পাথিরানা এই মুহূর্তেও আছেন চোটে। রিহ্যাবের সময় অনুযায়ী ধারণা করা হচ্ছে, হ্যামস্ট্রিংয়ের বড় রকমের চোটেই পড়েছেন এই ডানহাতি পেসার। সেই হিসেবে দুই থেকে ৬ সপ্তাহ পর্যন্ত সময় লাগতে পারে তার সেরে উঠতে। বাংলাদেশের বিপক্ষে ম্যাচেও তাই নাও দেখা যেতে পারে এই বোলারকে।
লঙ্কানদের বিশ্বকাপ দলে পেসারের ভূমিকায় পাথিরানা ছাড়াও আছেন নুয়ান থুসারা, দিলশান মাধুশঙ্কা, দুশমান্থ চামিরা। পাথিরানা ছিটকে গেলে ট্র্যাভেলিং রিজার্ভ হিসেবে দলের সঙ্গে থাকা আসিথা ফার্নেন্দো স্কোয়াডে জায়গা হতে পারে। সেক্ষেত্রেও দুশ্চিন্তা কমছে না। কারণ আসিথা মূলত নতুন বলের বোলার।
লঙ্কানদের স্পিন আক্রমণও অবশ্য প্রতিপক্ষের দুশ্চিন্তার কারণ হতে পারে। অধিনায়ক ওয়ানিন্দু হাসারাঙ্গা তো আছেনই। সঙ্গে মাহিশ থিকশানা, দুনিথ ভেলালাগেরা আছেন। স্পিনিং অলরাউন্ডার হিসেবে ধনঞ্জয়া ডি সিলভা, কামিন্দু মেন্ডিসরাও বল হাতে হতে পারেন দুশ্চিন্তার কারণ।