বিশ্বকাপ থেকে কত টাকা নিয়ে দেশে ফিরছে বাংলাদেশ
লক্ষ্য ১১৬ রান। আফগানিস্তানকে ১১৫ রানে আটকে দিয়ে পুরো টুর্নামেন্টের মতোই বোলাররা তাদের কাজটা আজও করেছিল ঠিকঠাকভাবে।
সেন্ট ভিনসেন্টের আজকের উইকেটে ২০ ওভারে এই রান করাটা সহজ। তবে সেমিফাইনালে যেতে হলে বাংলাদেশকে এই রান টপকাতে হতো ১২.১ ওভারে।
ওভারপ্রতি তুলতে হতো ৯.৫৭ রান। কিন্তু শেষ পর্যন্ত সেই ব্যাটসম্যানরাই আবার এলোমেলো আর অদ্ভুত ধরনের ব্যাটিং করে সব আশার জলাঞ্জলি দিয়েছে। দেখে নেওয়া যেতে পারে, কোথায় আর কোন ভুলে আটকে গেল বাংলাদেশ। সেমিফাইনালে তো যেতে পারলই না, শেষ পর্যন্ত হারল ৮ রানে।
নিজেদের ইতিহাসে দ্বিতীয়বারের মতো টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের সুপার এইটে উঠেছিল বাংলাদেশ। শেষ আটে প্রথম দুই ম্যাচে বাজেভাবে হারের পরও টাইগারদের সামনে সেমিফাইনালের হাতছানি ছিল।
শেষ পর্যন্ত আফগানদের কাছে ৮ রানের হারে বাংলাদেশের সঙ্গে বিদায় নিয়েছে অস্ট্রেলিয়ারও। টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের জন্য এবার রেকর্ড প্রাইজমানি ঘোষণা করেছিল আইসিসি।
সর্বমোট প্রাইজমানি ১১.২৫ মিলিয়ন ডলার বা প্রায় ১৩২ কোটি টাকা। আগের আসরে সেটা ছিল ৫৬ লাখ ডলার বা ৬৫ কোটি টাকা। অর্থাৎ গত আসরের চেয়ে এবার প্রায় দিগুণ বরাদ্দ দিয়েছে আইসিসি।
এবার চ্যাম্পিয়ন দল পাবে ২.৪৫ মিলিয়ন ডলার অর্থাৎ বাংলাদেশি টাকায় তারা পাবে প্রায় ২৯ কোটি টাকা। রানার্স-আপ দলের জন্য রাখা হয়েছে ১.২৮ মিলিয়ন ডলার। যা বাংলাদেশি মুদ্রায় প্রায় সাড়ে ১৫ কোটি টাকা।
সেমিফাইনাল থেকে বাদ পড়া দল পাবে ৭, ৮৭, ৫০০ মার্কিন ডলার বা ৯ কোটি ২৪ লাখ টাকা। এ ছাড়া সুপার এইট থেকে বাদ পড়া চার দল পাবে ২ লাখ ৮২ হাজার ৫০০ ডলার বা বাংলাদেশি মুদ্রায় প্রায় ৪ কোটি ৫০ লাখ টাকা করে। সে হিসেবে বিশ্বকাপের সুপার এইট থেকে বিদায় নেওয়া বাংলাদেশ শুধু প্রাইজমানি হিসেবে এই পরিমাণ অর্থ পাচ্ছে।
পাশাপাশি এবারের বিশ্বকাপে প্রতিটি ম্যাচ জয়ের জন্য দলগুলো পাচ্ছে ৩১ হাজার ১৫৪ ডলার। সে হিসেবে তিন ম্যাচ জেতা বাংলাদেশ পাচ্ছে ৯৩ হাজার ৪৬২ ডলার, যা বাংলাদেশি টাকায় ১ কোটি ৯ লাখ ৭৭ হাজার ৬৫৩ টাকার সমান। সব মিলিয়ে বিশ্বকাপ থেকে বাংলাদেশের আয় ৪ লাখ ৭৫ হাজার ৯৬২ ডলার বা বাংলাদেশি মুদ্রায় ৫ কোটি ৫৯ লাখ টাকারও বেশি। এর বাইরে ম্যাচ ফি, ম্যাচসেরার পুরস্কারসহ অন্যান্য আয় তো থাকছেই।