চট্টগ্রাম

বৃষ্টিতে বিষফোঁড়া গাড়িভাড়া, গণভোগান্তি

আবহাওয়া অফিসের তথ্যমতে, রবিবার দুপুর ১২টা থেকে সোমবার দুপুর ১২টা পর্যন্ত (২৪ ঘণ্টায়) মোট ৬৪ মিলিমিটার এবং সোমবার সকাল ৬টা থেকে দুপুর ১২টা পর্যন্ত ৫৫ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে। এরমধ্যে সকাল ৯টা থেকে দুপুর ১২টা পর্যন্ত (৩ ঘণ্টায়) ৫২ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করেছে আবহাওয়া অফিস।

এদিকে, বৈরি আবহাওয়ার কারণে রবিবার এইচএসসি পরীক্ষার প্রথম দিনে দুর্ভোগে পড়েন পরীক্ষার্থীরা। তবে আজ সোমবার এইচএসসির কোনো পরীক্ষা নেই। কিন্তু শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলা থাকায় সাধারণ শিক্ষার্থীদের দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে। সেই সাথে বৃষ্টিতে সাধারণ অফিসগামী মানুষকেও দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে। তবে মঙ্গলবার (২ জুলাই) এইচএসসি বাংলা দ্বিতীয় পত্রের পরীক্ষা রয়েছে।

এ বিষয়ে বাংলাদেশ ব্যাংক কলোনি স্কুলের অষ্টম শ্রেণীর শিক্ষার্থী সানজিদার মা কামরুন নাহার বলেন, ‘এমনিতে বৃষ্টি নাই। কিন্তু যখন ঘর থেকে বের হবো কোন কাজে অথবা বাচ্চারা স্কুলে যাবে তখনই বৃষ্টি! কালকেও এমন ছিল আজকেও এমন। বৃষ্টির এমন বৈরি আচরণ দেখে মনে হচ্ছে আমার সঙ্গেই মশকরা করতেছে।’

তিনি আরও বলেন, ‘এই বৃষ্টিতে স্কুলে না পাঠিয়েও কোনো উপায় নাই, কারণ পরশু (বুধবার) থেকে সাময়িক পরীক্ষা শুরু হচ্ছে। এই শহরে তো একটু বৃষ্টি হলে পানি উঠে যায় এজন্য ভয়ে থাকি বাচ্চারা ঠিকভাবে বাসায় আসতে পারবে কিনা। যত্রতত্র যেভাবে নালা-নর্দমা খোলা আছে, নিশ্চয়তা নাই কখন আবার কি অঘটন ঘটে যায়। এইজন্য একটু বৃষ্টি হলেই ভয় লাগে।’

একই প্রসঙ্গে অফিসগামী বেসরকারি চাকরিজীবী রাশেদ হাসান বলেন, ‘কালকের বৃষ্টিতে যেভাবে ভিজে গিয়ে চুপচুপ হয়ে গেছিলাম, ভাগ্যিস আজকে ছাতা সাথে নিয়ে বের হয়েছি। তবে বৃষ্টির ভেজা থেকে একটু রক্ষা পেলেও কিন্তু বাড়তি ভাড়া থেকে আমাদের রক্ষা নাই। বৃষ্টি হলে ঈদ লেগে যায় ড্রাইভারদের। ইচ্ছেমতো ভাড়া চায় আর আমাদেরও প্রয়োজন বলে বাধ্য হয়ে যেতে হয়।’

অন্যদিকে আবহাওয়ার এক সতর্কবার্তায় আবহাওয়াবিদ মো. মনোয়ার হোসেন বলেন, ‘উত্তর বঙ্গোপসাগর ও তৎসংলগ্ন বাংলাদেশের উপকূলীয় এলাকায় দক্ষিণ-পশ্চিম মৌসুমী বায়ু প্রবল রয়েছে। এর প্রভাবে উত্তর বঙ্গোপসাগর এলাকায় গভীর সঞ্চালনশীল মেঘমালা তৈরি অব্যাহত রয়েছে ও বায়ু চাপের তারতম্যের আধিক্য বিরাজ করছে। উত্তর বঙ্গোপসাগর ও বাংলাদেশের উপকূলীয় এলাকা এবং সমুদ্র বন্দর সমূহের উপর দিয়ে দমকা অথবা ঝড়ো হাওয়া বয়ে যেতে পারে।’

তিনি জানান, এ কারণে চট্টগ্রামসহ চার সমুদ্র বন্দরে তিন নম্বর এবং নদী বন্দরে দুই নম্বর সতর্ক সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *