বৃষ্টির অজুহাতে ফের বেড়েছে সবজির দাম

টানা বৃষ্টির অজুহাতে কাঁচাবাজারগুলোতে সবজির দাম ফের বেড়ে গেছে। এরজন্য বাজারে সবজির সরবরাহ কমে যাওয়াকে দায়ী করছেন ব্যবসায়ীরা। বৃষ্টির কারণে চলতি সপ্তাহে আরো বাড়তে পারে সবজির দাম এমনটাই বলছেন তারা।

গতকাল বৃহস্পতিবার নগরীর দুই কাঁচাবাজার থেকে এমন তথ্য পাওয়া যায়। বাজার ঘুরে দেখা গেছে, গত সপ্তাহের তুলনায় প্রতি কেজি সবজির দামে ১০ থেকে ৩০ টাকা বেড়েছে।

চৌমুহনী এলাকার কর্ণফুলী কাঁচাবাজারে দু’দিন আগে আলু বিক্রি হয়েছে ৪০-৫৫ টাকায়। এখন ফের দাম বেড়ে বিক্রি হচ্ছে ৬০ টাকায়। পেঁপে প্রতি কেজি বিক্রি হয়েছে ২৫ থেকে ৩০ টাকায়, যা গতকাল ৪০ থেকে ৪৫ টাকায় বিক্রি হয়। একইভাবে লতি ৩০ থেকে ৪০ টাকা থেকে বেড়ে ৫০ টাকায়, তিতকরলা ৬০-৮০ টাকা থেকে বেড়ে ১০০-১১০ টাকায়, কাকরোল ৫০ টাকা থেকে বেড়ে ৭০ টাকায়, ঢেঁড়স ৪০ থেকে ৬০ টাকায় ও বরবটি ৬০-৭০ টাকা থেকে বেড়ে ১০০-১১০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। কাঁচামরিচের দাম ৩০০-৩২০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। চৌমুহনী বাজারের বিক্রেতা নাছির উদ্দিন বলেছেন, বৃষ্টির কারণে সবজি নষ্ট হয়ে গেছে। উপজেলাগুলো থেকে আড়তে সবজি আসছে না। অল্প পরিমাণে যে সবজিগুলো পাওয়া যাচ্ছে সেগুলোও বেশি দামে কিনতে হচ্ছে। তাছাড়া টানা বৃষ্টিতে পরিবহন ব্যবস্থা ব্যাহত হওয়ায় সবজি বাজারে আসতে সময় লাগছে।

এদিকে রিয়াউউদ্দিন কাঁচাবাজারের সবজি ব্যবসায়ী মো. আতিম বলেন, সাধারণত যেসব সবজি ২০ মণের বেশি আনা হতো সেগুলো এখন এনেছি ১০ মণের মত। টানা বৃষ্টির কারণে সবজির ক্ষেত নষ্ট হয়ে গেছে। এতে সবজি সংগ্রহ করা কঠিন হয়ে গেছে। এসব কারণে সবজির দাম বেড়ে গেছে।

এদিকে শুধু সবজির দাম নয়, দাম বেড়েছে পেঁয়াজেরও। এ বাজারে প্রতিকেজি পেঁয়াজে ১০ টাকা বেড়ে ১১০ টাকা কেজি দরে বিক্রি করছে। যা দু’দিন আগে ৯০-৯৫ টাকায় বিক্রি হয়েছে। আবার কোথাও কোথাও ১২০ টাকা কেজি দরেও পেঁয়াজ বিক্রি হওয়ার খবর শোনা যাচ্ছে।

চৌমুহনী এলাকার বাসিন্দা মো. ফবলু বলেন, আজকে বাজারে পেঁয়াজের দামও বেড়ে গেছে। ৯০-৯৫ টাকার পেঁয়াজ আজকে বিক্রি হচ্ছে ১১০ টাকায়। আবার ভালোটা বলছে ১২০ টাকা। এছাড়া করলা গত সপ্তাহে ৮০ টাকায় কিনেছিলাম, আজ কিনলাম ১০০ টাকায়। বেড়েছে শাকের আঁঠির দামও। যে শাক ১০ টাকা ছিল, সেটা এখন ১৫ টাকায় কিনতে হয়েছে। আবার মিষ্টি কুমড়োর শাক আঁঠি ৩০ টাকা থেকে বেড়ে ৫০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

এদিকে এখনো অপরিবর্তিত রয়েছে মুরগির দাম। ব্রয়লার মুরগি প্রতি কেজি বিক্রি হচ্ছে ১৬০ টাকায়। যা তিন থেকে চার দিন আগেও প্রায় একই ছিল। আবার লেয়ারও দাম কমে বিক্রি হচ্ছে ২৬০ টাকায় এবং দেশি মুরগি বিক্রি হচ্ছে ৪৫০ টাকা।