বেতন বৃদ্ধিসহ ৬ দফা দাবি তৃতীয় শ্রেণির সরকারি কর্মচারীদের
নবম পে-স্কেলসহ ৬ দফা দাবি জানিয়ছে বাংলাদেশ তৃতীয় শ্রেণি সরকারি কর্মচারী সমিতি। শনিবার (১৮ মে) ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে এক সংবাদ সম্মেলনে নিজেদের দাবিগুলো তুলে ধরেন এবং তা বাস্তবায়নে বিভিন্ন কর্মসূচি ঘোষণা করেন সমিতির নেতারা।
লিখিত বক্তব্যে সমিতির মহাসচিব মো. ছালজার রহমান দাবিগুলো তুলে ধরেন।
তিনি বলেন, ‘সর্বশেষ ২০১৫ সালে অষ্টম জাতীয় বেতনস্কেল দেওয়ার পর গত ১০ বছরে গ্যাস, বিদ্যুৎ, পানি, ওষুধ, চিকিৎসা ও নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যের শতভাগ মূল্য বৃদ্ধিতে সরকারি কর্মচারীরা অর্থকষ্টে জীবনযাপন করছেন। এ অবস্থা থেকে উত্তরণে অন্তর্বর্তীকালীন বিশেষ সুবিধা পাঁচ শতাংশ থেকে ৩০ শতাংশে উন্নীত করা, অবিলম্বে জাতীয় নবম বেতনস্কেল ঘোষণার বিকল্প নাই।’
তিনি বলেন, ‘সচিবালয়ে এবং সচিবালয়ের বাইরে সব পদের জন্য এক ও অভিন্ন নিয়োগবিধি প্রণয়ন, ডিপ্লোমাধারীদের দশম গ্রেড দেওয়া, আগের মতো শতভাগ পেনশন চালু, টাইমস্কেল-সিলেকশন গ্রেড দেওয়া, অবসরের বয়সসীমা ৬৫ বছর এবং ইনক্রিমেন্টের শেষ ধাপ ব্লক না রেখে নিয়মিত ইনক্রিমেন্ট চালুর দাবি জানাচ্ছি।’
কর্মচারী সমিতির সভাপতি মো. লুৎফুর রহমান বলেন, ‘আগামী ২১ মে প্রধানমন্ত্রী বরাবর স্মারকলিপি দেওয়া, ২৬-৩০ মে সব সরকারি প্রতিষ্ঠানে জনসংযোগ ও দাবি সংবলিত লিফলেট বিতরণ এবং ১ জুন প্রেস ক্লাবের সামনে মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হবে।’ দাবি আদায় না হলে পরবর্তী সময়ে আরও কঠোর কর্মসূচি দেওয়া কথা জানান তিনি।
বাংলাদেশ তৃতীয় শ্রেণি সরকারি কর্মচারী সমিতি জাতীয় ও স্থানীয় নেতারা ছাড়াও সংবাদ সম্মেলনে ছিলেন– দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা অধিদফতরের মো. মিজানুর রহমান, ঢাকা মেডিক্যাল কলেজের রফিকুল ইসলাম মামুন, সমুদ্র পরিবহন অধিদফতরের নূরনবী, হৃদরোগ ইনস্টিটিউটের সেলিম মোল্লা, মুগদা মেডিক্যাল কলেজের মনিরুল ইসলাম, ক্যানসার হাসপাতালের তাপস কুমার সাহা, মাহবুব, টেলিযোগাযোগ অধিদফতরের মফিজুল ইসলাম পিন্টু, জাতীয় আর্কাইভের মনির হোসেন, জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদফতরের মোফাজ্জল হোসেন প্রমুখ।