জাতীয়

বেনজীরের বিরুদ্ধে দুর্নীতির বিশ্বাসযোগ্য তথ্য পাওয়া গেছে: দুদক আইনজীবী

দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) অনুসন্ধানে এখন পর্যন্ত যেসব বিশ্বাসযোগ্য তথ্য পাওয়া গেছে তাতে পুলিশের সাবেক মহাপরিদর্শক (আইজিপি) বেনজীর আহমেদের অপরাধলব্ধ আয়ের প্রমাণ পাওয়া গেছে বলে জানিয়েছেন সংস্থাটির আইনজীবী মো.খুরশীদ আলম।

বৃহস্পতিবার (১৩ জুন) এ তথ্য জানিয়ে সুপ্রিম কোর্টের এ জ্যেষ্ঠ আইনজীবী বলেন, এখন মামলা কখন হবে সেটা দুর্নীতি দমন কমিশন সিদ্ধান্ত নেবে।

দৈনিক কালের কণ্ঠে ‘বেনজীরের ঘরে আলাদীনের চেরাগ’ এবং ‘বনের জমিতে বেনজীরের রিসোর্ট’ শিরোনামে গত ৩১ মার্চ ও ২ এপ্রিল পৃথক দুটি অনুসন্ধানী প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়।

এ অবস্থায় গত ২১ এপ্রিল বেনজীর আহমেদ ও তার পরিবারের সদস্যদের অবৈধ সম্পদ অনুসন্ধান করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে দুদক চেয়ারম্যান বরাবর আবেদন করেন হবিগঞ্জ-৪ (মাধবপুর-চুনারুঘাট) আসনের সংসদ সদস্য ব্যারিস্টার সৈয়দ সায়েদুল হক সুমন। পরদিন দুদক সচিব খোরশেদা ইয়াসমীন এক সংবাদ সম্মেলনে বেনজীর আহমেদ ও তার পরিবারের বিরুদ্ধে অবৈধ সম্পদের অনুসন্ধান শুরুর তথ্য জানান। দুদকের উপপরিচালক হাফিজুল ইসলামের নেতৃত্বে তিন সদস্যের একটি টিম অভিযোগটি অনুসন্ধান করছে। টিমের অপর সদস্যরা হলেন- সহকারী পরিচালক নিয়ামুল আহসান গাজী ও জয়নাল আবেদীন।

পাশাপাশি সালাহ উদ্দিন রিগ্যান নামের একজন আইনজীবী হাইকোর্টে রিট করেন। পরে ২৩ এপ্রিল পুলিশের সাবেক মহাপরিদর্শক (আইজিপি) বেনজীর আহমেদের অনিয়ম-দুর্নীতি, ক্ষমতার অপব্যবহার ও অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগ অনুসন্ধানে দুদকের করা কমিটির অগ্রগতি প্রতিবেদন চেয়েছেন হাইকোর্ট। দুই মাসের মাসের মধ্যে কমিটিকে অগ্রগতি প্রতিবেদন দিতে বলা হয়।

এরপর দুদকের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে তিন দফা তার এবং পরিবারের সদস্যদের সম্পদ জব্দ ও ক্রোকের আদেশ দেওয়া হয়। আদেশ অনুসারে যথাযথ কর্তৃপক্ষ সম্পদগুলো তত্ত্বাবধানে নেয়।

সাবেক আইজিপির বিরুদ্ধে যেসব অভিযোগ পাওয়া গেছে সে বিষয়ে দুদকের আইনজীবী খুরশীদ আলম খান বলেন, উনার সন্দেহজনক লেনদেন আছে। অপরাধলব্ধ আয় আছে। অপরাধ লব্ধ সম্পত্তি আছে। এগুলো যাচাই করছি, দেখছি। আরও সম্পদ আছে কিনা সেটাও খতিয়ে দেখছি। সাবেক আইজিপির যে কর্মকাণ্ড অপরাধলব্ধ আয় এটা খুব বিপদজনক। আমি ব্যক্তিগতভাবে হতাশ। সর্বোচ্চ পদে একজন পুলিশ বাহিনীর সাবেক প্রধান হিসেবে এভাবে অপরাধলব্ধ আয়ের সঙ্গে কীভাবে জড়িয়ে গেলেন। কেন এত অপরাধলব্ধ আয় তার পরিবারের জন্য করলেন। এটা বিশাল প্রশ্ন। কোনো বাহিনী প্রধানের বিরুদ্ধে এমন হয়েছে কিনা আমার জানা নেই।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *