বেনজীর ও স্ত্রী-সন্তানদের সব শেয়ার ফ্রিজের নির্দেশ
সাবেক আইজিপি বেনজীর আহমেদ, তার স্ত্রী জিশান মির্জা, বড় মেয়ে ফারহিন রিশতা বিনতে বেনজীর ও ছোট মেয়ে তাহসিন রাইসা বিনতে বেনজীরের শেয়ার বাজারের সব হিসাব ও শেয়ার ফ্রিজ রাখার নির্দেশ দিয়েছে বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি)।
সোমবার (২৭ মে) শেয়ার সংরক্ষণ কেন্দ্র সেন্ট্রাল ডিপোজিটরি বাংলাদেশ লিমিটেডকে (সিডিবিএল) তাদের নামে সকল বিও হিসাব (বেনিফিশিয়ারি ওনার্স অ্যাকাউন্ট) অবরুদ্ধ রাখতে নির্দেশ দেয়া হয়। এর ফলে অবরুদ্ধকরণ আদেশ কার্যকর থাকা অবস্থায় অর্থ অবরুদ্ধ হিসাবসমূহে জমা করা যাবে না বা কোনো অবস্থাতেই অর্থ তোলা যাবে না।
এছাড়াও, সোমবার এ সংক্রান্ত নির্দেশনা বিএসইসি থেকে সিডিবিএল ও দুর্নীতি দমন কমিশনে (দুদক) পাঠানো হয়েছে বলে জানা গেছে। তাদের তিনজনের মোট ছয়টি হিসাব রয়েছে শেয়ার বাজারে।
জানা গেছে, আইএফআইসি সিকিউরিটিজ লিমিটেড ও ড্রাগন সিকিউরিটিজ লিমিটেডে বেনজীর আহমেদের বিও হিসাব রয়েছে। এছাড়া সাউথইস্ট ব্যাংক ক্যাপিটাল সার্ভিসেস লিমিটেড ও ইবিএল সিকিউরিটিজ লিমিটেডে তার স্ত্রী জিশান মির্জা, ইবিএল সিকিউরিটিজ লিমিটেডে তার বড় মেয়ে ফারহিন রিশতা বিনতে বেনজীর এবং ডাইনেস্টি সিকিউরিটিজ লিমিটেডে ছোট মেয়ে তাহসিন রাইসা বিনতে বেনজীরের নামে বিও হিসাব রয়েছে।
বিও হিসাব অবরুদ্ধকরণ প্রসঙ্গে বিএসইসির নির্দেশনায় বলা হয়েছে, মহানগর সিনিয়র স্পেশাল জজ কোর্টের সংশ্লিষ্ট আদেশের পরিপ্রেক্ষিতে পাঁচটি ব্রোকারেজ হাউজে ছয়টি বিও হিসাব পরবর্তী আদেশ না দেয়া পর্যন্ত অবরুদ্ধ করার নির্দেশ দেয়া হলো। বিজ্ঞ আদালতের আদেশ মোতাবেক ওই হিসাবগুলোর ওপর অবরুদ্ধকরণ আদেশ কার্যকর থাকা অবস্থায় অবরুদ্ধ হিসাবসমূহ থেকে কোনো অবস্থাতেই অর্থ উত্তোলন করা যাবে না।
এর আগে, প্রথম দফায় গত ২৩ মে পুলিশের এ সাবেক কর্মকর্তার সম্পত্তি ক্রোক করার নির্দেশ দেন আদালত। আদালতে দুদকের ৮৩টি দলিল দাখিলের পরিপ্রেক্ষিতে ঢাকা মহানগর দায়রা জজ মোহাম্মদ আসসামছ জগলুল হোসেনের আদালত ওইদিন এ আদেশ দিয়েছিলেন।
গত রোববার (২৬ মে) দ্বিতীয় দফায় বেনজীর আহমেদ ও তার স্ত্রী-সন্তানদের নামে থাকা রাজধানীর গুলশানের চারটি ফ্ল্যাটসহ ১১৯টি স্থাবর-অস্থাবর সম্পদ জব্দের (ক্রোক) আদেশ দেন আদালত।