বেস্ট ফ্রেন্ডকে বিয়ে করার ঝুঁকি কী
বেস্ট ফ্রেন্ডকে বিয়ে করা বড় ঝুঁকিও বটে কেন? কারণ, বন্ধুত্ব থেকে যেমন প্রত্যাশা থাকে, দাম্পত্য মানে সেই সম্পর্কটাকে আরও এগিয়ে নিয়ে যাওয়া। প্রত্যাশা বেড়ে যাওয়া। আর কে না জানে, দাম্পত্যজীবন খুব সহজ নয়। তাই দাম্পত্য সম্পর্ক ‘কাজ না–করা’র অর্থ হলো, আপনি আপনার জীবনসঙ্গীকে তো হারালেনই, সেরা বন্ধুকেও হারালেন।
বিয়ে, সম্পর্ক ও মানসিক স্বাস্থ্যবিষয়ক নানা বিশেষজ্ঞ পরামর্শ মেলে ম্যারেজ ডটকমের বিভিন্ন প্রতিবেদনে। সেখানে মার্কিন সাইকোলজিস্ট ও কাপল কাউন্সিলর জন গটম্যান বলেন, ‘আপনার বেস্ট ফ্রেন্ডকে (প্রিয় বন্ধু) বিয়ে করার ক্ষেত্রে মনে রাখবেন, আপনাদের মনোমালিন্যও শুরু হতে পারে অন্যদের তুলনায় তাড়াতাড়ি। কেননা, এখানে “হানিমুন পিরিয়ড” নেই বললেই চলে।
সামনের মানুষটার সঙ্গে কোনো লুকোছাপা করে আপনি অভ্যস্ত নন। এদিকে আবার বিয়ের পর বন্ধু-সঙ্গীকে ফর গ্র্যান্টেড হিসেবে নেওয়ার প্রবণতাও বেশি। অন্যদিকে প্রথমবার শারীরিক সম্পর্কে যাওয়াটা হাস্যকর আর অস্বস্তিকর বলে মনে হতে পারে।’
তাই অন্যদের কানাঘুষায় বা অনুপ্রেরণায় বন্ধুর সঙ্গে সম্পর্কটাকে আরও এগিয়ে নেওয়ার ক্ষেত্রে যে বিষয়গুলো মাথায় রাখতে বলছে ম্যারেজ ডটকম—
হুট করে কোনো সিদ্ধান্ত নয়। বন্ধুকে ঝোঁকের বশে প্রেমের প্রস্তাব দিয়ে নিজেদের বন্ধুত্বকে ঝুঁকিতে ফেলবেন না। সময় নিন। ভাবুন। অর্থাৎ বন্ধুকে জীবনসঙ্গীরূপে ভাবুন। সবার আগে নিজের সঙ্গীর কাছ থেকে আপনার কী চাওয়া, নিজেকেই সেটা প্রশ্ন করুন। তারপর দেখুন, আপনার বন্ধুর সঙ্গে সেটা মিলে কি না।
বন্ধুর ভাব বুঝুন। তাঁর সঙ্গে বিষয়টি নিয়ে আলোচনা করুন। তাঁর প্রত্যাশার সঙ্গে নিজের প্রত্যাশা মিলিয়ে নিন।
প্রেমের সম্পর্কটাকেও সময় দিন। তারপর নিশ্চিত হয়ে সম্পর্কটাকে বিয়ের দিকে এগিয়ে নিন।
দাম্পত্য সম্পর্কে চাওয়া–পাওয়ার হিসাব–নিকাশ অনেক গভীর আর জটিল। তাই কোনোভাবেই সম্পর্কটাকে ‘ফর গ্র্যান্টেড’ হিসেবে নেওয়ার সুযোগ নেই। যেকোনো দাম্পত্য সম্পর্কের মতো এখানেও আপনাকে নিয়মিত যত্ন করতে হবে। সম্পর্ক আহত হলে সেটাকে সারিয়ে তুলতে আন্তরিকভাবে উদ্যোগী হতে হবে। ‘ও বুঝে নেবে’ ভাবলেই তৈরি হবে জটিলতা।