চট্টগ্রাম

বে টার্মিনালে ৮০০ কোটি ডলার বিদেশি বিনিয়োগ আসবে

চট্টগ্রাম বন্দরের বে টার্মিনাল প্রকল্পের দৃশ্যমান কাজ এ বছর শুরু হওয়ার কথা রয়েছে। প্রকল্পে রয়েছে জাহাজ থেকে পণ্য ওঠানো-নামানোর জন্য চারটি টার্মিনাল, নৌপথ তৈরি ও দেশের জ্বালানি নিরাপত্তা নিশ্চিত করার জন্য চতুর্থ টার্মিনাল হিসেবে গ্যাস এবং অয়েল টার্মিনাল নির্মাণের উদ্যোগ। প্রকল্প বাস্তবায়নে বিদেশি বিনিয়োগ আসবে ৮০০ কোটি ডলার (৮৮ হাজার কোটি টাকা)।

চট্টগ্রাম বন্দর চেয়ারম্যান রিয়ার অ্যাডমিরাল মোহাম্মদ সোহায়েল এসব তথ্য জানান।

বাংলাদেশের ইতিহাসে সবচেয়ে বড় বিদেশি বিনিয়োগে বে টার্মিনাল হচ্ছে উলেস্নখ করে বন্দর চেয়ারম্যান বলেন, বে টার্মিনালে পৃথক চারটি টার্মিনাল তৈরির ক্ষেত্রে সবচেয়ে বেশি ৩৫০ কোটি ডলার বিনিয়োগ হবে গ্যাস ও তেল খালাসের টার্মিনালে। একটি বিদেশি প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে যৌথভাবে বাংলাদেশি প্রতিষ্ঠান ইস্ট কোস্ট গ্রম্নপ এ প্রকল্প বাস্তবায়ন করবে। বাকি তিনটি টার্মিনাল কনটেইনার ও পণ্য ওঠানো-নামানোর কাজে ব্যবহার হবে। ১৫০ কোটি ডলার করে বিনিয়োগ করে দুটি টার্মিনাল নির্মাণ ও পরিচালনা করবে সিঙ্গাপুরের পিএসএ ইন্টারন্যাশনাল এবং আরব আমিরাতের ডিপি ওয়ার্ল্ড। এ ছাড়া আবুধাবি পোর্টস প্রস্তাব করেছে মাল্টিপারপাস নামে আরেকটি টার্মিনাল নির্মাণের, যেখানে ১০০ কোটি ডলারের বিনিয়োগ হতে পারে। এ ছাড়া প্রক্রিয়াধীন রয়েছে নৌপথ তৈরিতে আরও ৫৯ কোটি ডলার বিনিয়োগের। এসব প্রকল্পের দৃশ্যমান কাজ এ বছর শুরু হওয়ার কথা জানিয়েছেন তিনি।

বাংলাদেশের প্রথম গভীর সমুদ্রবন্দরের টার্মিনালের নির্মাণকাজ দ্রম্নত শুরু হবে জানিয়ে বন্দর চেয়ারম্যান বলেন, সরকারি অনুমোদন পাওয়ার পর মাঠ পর্যায়ে নির্মাণকাজ দ্রম্নত শুরু হয়ে যাবে। যেখানে বড় বড় জাহাজ ভেড়ানো যাবে।

এ ছাড়া ডেনমার্কের এপিএম লালদিয়ার চরে বিনিয়োগের আগ্রহের প্রকাশ করেছে জানিয়ে বন্দর চেয়ারম্যান বলেন, লালদিয়ায় টার্মিনাল নির্মাণে সমীক্ষা হয়েছে। সেখানে টার্মিনাল নির্মাণ ও পরিচালনার জন্য এ বছরই ডেনমার্কের প্রতিষ্ঠানটির সঙ্গে চুক্তি সই হবে।

তিনি বলেন, ২০২৪ সালে চট্টগ্রাম বন্দরে ব্যাপক উন্নয়ন কর্মযজ্ঞ শুরু হয়েছে। মাতারবাড়ী গভীর সমুদ্রবন্দর উন্নয়ন প্রকল্পের ঠিকাদার নিয়োগের মাধ্যমে চলতি বছরের জুন থেকে জুলাইয়ে এ নির্মাণ শুরুর সম্ভাবনা রয়েছে। গত এক বছরে চট্টগ্রাম বন্দরের সক্ষমতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে ৪৩ হাজার বর্গমিটার কনটেইনার ইয়ার্ড নির্মাণ করা হয়েছে। এ কনটেইনার ইয়ার্ড নির্মাণের ফলে অতিরিক্ত সাত হাজার টিইইউএস কনটেইনার ধারণক্ষমতা বৃদ্ধি পেয়েছে। পাশাপাশি আরও তিনটি নতুন কনটেইনার ইয়ার্ড নির্মাণের কাজ শুরু করা হয়েছে। চট্টগ্রাম বন্দরে আগত রাসায়নিক পদার্থগুলোকে নিরাপদে সংরক্ষণ ও ছাড়করণের লক্ষ্যে দ্বিতলবিশিষ্ট ৪ হাজার ২৭৫ বর্গমিটার আয়তনের একটি কেমিক্যাল শেড নির্মাণ করা হয়েছে। তাছাড়া কর্ণফুলী নদীর নাব্য রক্ষার্থে নদীর উভয় পাড়ে ২ হাজার ৮৫০ মিটার ব্যাংক প্রটেকশন কাজ সম্পাদন করা হয়েছে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *