চট্টগ্রামরাজনীতি

বোয়ালখালী আ. লীগ কার্যালয়ের ‘তালা’ নিয়ে মিশ্র প্রতিক্রিয়া!

চট্টগ্রামের বোয়ালখালী উপজেলা আওয়ামী লীগের দলীয় কার্যালয়ের ‘তালা’ নিয়ে মিশ্র প্রতিক্রিয়ার সৃষ্টি হয়েছে। এ নিয়ে চলছে আলোচনা সমালোচনা। প্রকাশ্যে আসলো উপজেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি-সাধারণ সম্পাদকের নির্বাচনী দ্বন্দ্ব।

মঙ্গলবার (১৪ মে) দুপুরে আওয়ামী লীগের দলীয় কার্যালয় তালাবদ্ধ করে ভাত খেতে বাড়িতে যান দায়িত্বরত আওয়ামী লীগ নেতা রণজিৎ সেন। এ সময় দলের সাধারণ সম্পাদক রেজাউল করিম রাজা দলীয় কার্যালয়ের ফটকে আরেকটি নতুন তালা ঝুলিয়ে দেন।

রণজিৎ সেন বলেন, দুপুরে ভাত খাওয়ার জন্য বাড়িতে যাই। এ সময় সাধারণ সম্পাদক মহোদয় এসে কার্যালয়ের ফটকে একটি নতুন তালা ঝুলিয়ে দেন। এ সময় তিনি জানিয়েছেন, নির্বাচনকালীন কেউ যেন কার্যালয় ব্যবহার না করেন। করলে আইনগত ব্যবস্থা নেবেন।

এর ঘণ্টাখানেক পর উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক যুগ্ম সম্পাদক শেখ শহীদুল আলম সেই তালাটি ভেঙে ফেলেছেন বলে জানিয়েছেন প্রত্যক্ষদর্শী যুবলীগ নেতা মো. তৈয়ব। দলীয় কার্যালয়ের পাশে তৈয়বের আলমারির দোকান রয়েছে।

শেখ শহীদুল আলম বলেন, সভাপতির নির্দেশে তালাটি ভেঙে ফেলেছি। এ কার্যালয়ে দলীয় নেতাকর্মীরা বিকেলে সময় দেন। এখানে কোনো নির্বাচনী কার্যক্রম হয় না।

উপজেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি মো. নুরুল আমিন চৌধুরী বলেন, আমি নির্বাচনী প্রচারণার অংশ হিসেবে চরণদ্বীপে রয়েছি। কার্যালয়ে তালা নিয়ে কি হয়েছে জানি না। কার্যালয়ে দলের নেতাকর্মীরা বসবেন এটাই স্বাভাবিক। সাধারণ সম্পাদকও বসবেন। আমার নির্বাচনী কার্যক্রমে দলীয় কার্যালয় ব্যবহার করিনি।

এ বিষয়ে সাধারণ সম্পাদক রেজাউল করিম রাজা বলেন, নির্বাচনী কার্যক্রমে দলীয় কার্যালয় ব্যবহার করার বিষয়ে জানতে পারায় তালাবদ্ধ করে দিয়েছি। উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে সভাপতি (নুরুল আমিন চৌধুরী) এবং আমি নিজেও প্রার্থী। দল যেহেতু নির্বাচনে প্রার্থী দেয়নি। তাই নিজেদের ব্যক্তিগত নির্বাচনী অফিস নিতে হবে।

মঙ্গলবার দুপুরে কার্যালয়ের তালা-চাবি চেয়েছিলাম, কেউ না দেওয়ায় নতুন তালা কিনতে হয়েছে বলে জানান তিনি।

জানা গেছে, ৬ষ্ঠ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে উপজেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি মো. নুরুল আমিন চৌধুরী মোটর সাইকেল প্রতীক নিয়ে এবং সাধারণ সম্পাদক রেজাউল করিম রাজা দোয়াত-কলম প্রতীক নিয়ে চেয়ারম্যান পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। নির্বাচনী প্রচারণার দ্বিতীয় দিনে দলীয় কার্যালয় ব্যবহার নিয়ে এ দুই চেয়ারম্যান প্রার্থীর দ্বন্দ্ব সামনে এলো।

উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি-সাধারণ সম্পাদকের নির্বাচনী দ্বন্দ্বে বিভক্ত কর্মী সমর্থকরা সংঘাত সংঘর্ষে জড়াতে পারেন বলে আশঙ্কা করেছেন দলের সাধারণ নেতাকর্মীরা।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *