‘ব্ল্যাক শামীম’ গ্রুপের সশস্ত্র মহড়া, দোকানপাট-সিসি ক্যামেরা ভাঙচুর
নগরের খুলশী থানার জালালাবাদ এলাকায় প্রকাশ্যে অস্ত্রের মহড়া চালিয়ে দোকানপাট ও আশপাশের ক্লোজ সার্কিট ক্যামেরা ভাঙচুর করেছে সন্ত্রাসীরা। এরা র্যাবের হাতে অস্ত্রসহ গ্রেপ্তার শামীম আজাদ ওরফে ব্ল্যাক শামীম গ্রুপের অনুসারী বলে প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন। এ সময় তাদেরকে স্থানীয় কাউন্সিলর মো. ওয়াসিমের পক্ষে বিভিন্ন স্লোগান দিতেও দেখা যায়।
বুধবার (২৭ মার্চ) রাত সাড়ে ৮টার দিকে এ ঘটনা ঘটে। এতে এলাকাজুড়ে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। যদিও এখন পর্যন্ত কাউকে গ্রেপ্তার করতে পারেনি পুলিশ।
হাতে আসা সিসিটিভি ক্যামেরার একটি ফুটেজে দেখা গেছে, প্রায় ২৫ থেকে ৩০ জন কিশোর-যুবক হাতে লাঠি, রামদা, ছুরিসহ বিভিন্ন দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে আশেপাশের দোকানপাট এবং সিসি ক্যামেরা ভাঙচুর করছে। এরপরই তারা দৌঁড়ে পালায়।
আরেকটি ভিডিও ফুটেজে দেখা গেছে, দোকানপাট ভাঙচুর করার আগে শতাধিক ছাত্রলীগ, যুবলীগ ও আওয়ামী লীগের নেতাকর্মী জড়ো হয়ে ১৩ নং পাহাড়তলী ওয়ার্ড কাউন্সিলর মো. ওয়াসিম উদ্দিন চৌধুরীর পক্ষে স্লোগান দিতে থাকেন। এ সময় তাদের হাতে ছিল রাম দা এবং লাঠিসোঁটা।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনে ভোটগ্রহণের দিন চট্টগ্রাম-১০ আসনে গুলি ছোঁড়ার ঘটনায় র্যাবের হাতে অস্ত্রসহ গ্রেপ্তার হন শামীম। তিনি চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের ১৩ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর ওয়াসিম উদ্দিনের অনুসারী। শামীমের বিরুদ্ধে অস্ত্রসহ বিভিন্ন অপরাধে পাঁচটির বেশি মামলা রয়েছে। দীর্ঘদিন ধরে খুলশীসহ বিভিন্ন এলাকায় সহযোগীদের নিয়ে চাঁদাবাজি, টেন্ডারবাজি, সন্ত্রাস ও এলাকায় আধিপত্য বিস্তারসহ বিভিন্ন অপরাধের হোতা এই শামীম। কিন্তু তাকে ‘আগলে’ রাখেন কাউন্সিলর ওয়াসিম।
বর্তমানে কারাগারে থাকা শামীম নগরের প্রিমিয়ার বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র সোহেল হত্যা মামলার অভিযোগপত্রভুক্ত আসামি। শামীমের বিরুদ্ধে মিরসরাই থানায় একটি হত্যা মামলা রয়েছে। এর আগে ২০১৮ সালের ২৭ জুলাই চট্টগ্রামের সিটি গেট এলাকা থেকে অস্ত্রসহ গ্রেপ্তার হয়েছিলেন তিনি।
এ বিষয়ে জানতে কাউন্সিলর মো. ওয়াসিম উদ্দিন চৌধুরীর মুঠোফোনে কল করা হলে তিনি সংযোগ বিচ্ছিন করে দেন।
ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে নগর পুলিশের অতিরিক্ত উপকমিশনার (এডিসি) পংকজ দত্ত বলেন, ‘ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছে। জড়িতদের সনাক্তে আমরা কাজ করছি।’