খেলাজাতীয়

ভক্ত-সমর্থকদের তোপের মুখে মাশরাফি

‘পা দুটো বেইমানি করলেও ঘাড়ের রগ বাঁকা করে চ্যালেঞ্জ করবো নিজেকেই। শুধু একটা বল করতে চাই বাংলাদেশের জন্য।’-একটি বাণিজ্যিক পণ্যের বিজ্ঞাপনে অংশ নিয়ে মাশরাফি বলে ছিলেন কথাগুলো।

এমন কঠিন মানসিকতার জন্যই মানুষ ভালোবেসেছিল মাশরাফিকে। পরম শ্রদ্ধায় বসিয়েছিল সম্মানের সিংহাসনে। আর সেই মাশরাফিও বিশ্ব মঞ্চে বুক চিতিয়ে লড়তেন দেশের জন্য।

চোট থাকার পরও একটা রান বাঁচাতে ঝাপিয়ে পড়তেন বল ধরতে। মানুষের এমন ভালোবাসায় মাশরাফি পেয়েছিলেন বীর খেতাব। ক্রিকেট দল ছাপিয়ে তরুণদের কাছে মাশরাফি হয়ে উঠেছিলেন এক আদর্শের নাম। যে কেবল বাংলাদেশ ক্রিকেট দলের অধিনায়ক নন বরং সবারই ক্যাপ্টেন। সেই ক্যাপেন্ট মাশরাফি এবার পরিণত হলেন কিছুটা হাসির পাত্রে! তা মাত্র কয়েকদিনের ব্যবধানে।

কোটা সংস্কার আন্দোলনে দেশজুড়ে যখন চলছে চরম অস্থিরতা। সরকারি হিসেবে যখন নিহতের সংখ্যা ছাড়িয়েছে দেড়শর ঘর। বেসরকারি হিসেবে সেই সংখ্যাটাকে বলা হচ্ছে আরও অনেক বেশি। যার হিংসভাগই আবার তরুণ ছাত্র। যাদের কাছে মাশরাফি ছিলেন এক আদর্শের নাম। যারা রাজনৈতিক পরিচয় ভুলে নিজেদের ক্যাপ্টেন হিসেবে মানত মাশরাফিকে।

সেই ছাত্র সমাজের এমন গণআন্দোলনে সমর্থন দেননি মাশরাফি। নানা ইস্যুতে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে সরব মাশরাফি চুপ রইলেন কোটা সংস্কার ইস্যুতে। ছাত্র সমাজের পক্ষ থেকে বারবার মাশরাফির সমর্থন চাওয়া হলেও তিনি নির্বিকার রইলেন অন্যসব নেতার মতো।

স্বাভাবিকভাবেই তাই মাশরাফিকে নিয়ে সমালোচনায় মেতেছে সমর্থকরা। মহানায়ক মাশরাফি গেছেন রাজনীতিক মাশরাফিতে! ক্ষুদ্ধ তার ভক্তরা। যারা এতদিন ভালোবাসা আর সম্মানে মাথায় বসিয়েছিল মাশরাফিকে।

এবার সেই তারাই মাশরাফির একটি দেয়াল ছবিকে ব্যাঙ্গ করে জোকার বানিয়ে দিয়েছেন। সেই ছবিতে নিক্ষেপ করছেন জুতা। বুধবার সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে এমন একটি ছবি ও ভিডিও ছড়িয়ে পড়েছে।

ছবির দুই পাশের লেখা, ‘ওহ ক্যাপ্টেন, মাই ক্যাপ্টেন’ মুছে ফেলা হয়েছে। মাশরাফিকে বলা হচ্ছে ক্লাউন। যেই ছবি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়লে সেই ভিডিওর কমেন্ট বক্সেও মাশরাফিকে নিয়ে ক্ষোভ ঝারছে সমর্থকরা।

একই সঙ্গে সমর্থকরা ক্ষোভ ঝাড়ছে মাশরাফির রাজনৈতিক সতীর্থ বাংলাদেশের গ্লোবাল আইকন সাকিব আল হাসানের প্রতিও।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *