ভাঙ্গুড়ায় সরকারি জায়গা দখল করে স্থাপনা নির্মাণ
পাবনার ভাঙ্গুড়া উপজেলার অষ্টমনিষা ইউনিয়নের রুপসী বাজার এলাকার গুমানি নদীর খেয়া ঘাট সংলগ্ন পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) প্রায় দেড় বিঘা জায়গা দখলের অভিযোগ উঠেছে সায়দার আলী নামের প্রভাবশালী এক ব্যক্তির বিরুদ্ধে।
দখলকৃত সেই জায়গাটির কিছু অংশ আবার তিনি ভাড়াও দিয়েছেন এক বালু ব্যবসায়ীর নিকট। আর বাকি জায়গায় করাতকল স্থাপন করছেন তিনি নিজেই। অভিযুক্ত সায়দার আলী উপজেলার ভাঙাজোলা গ্রামের খোরশেদ আলীর ছেলে। তিনি পেশায় একজন পল্লী চিকিৎসক।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, গুমানি নদীর খেয়া ঘাটের রাস্তা ঘেঁষে প্রায় দেড় বিঘা জায়গা দীর্ঘদিন ধরে দখল করে রেখেছেন সায়দার। সম্প্রতি তিনি ওই জায়গাটির কিছু অংশ এলাকার এক বালু ব্যবসায়ীর নিকট মাসিক চুক্তিতে ভাড়া দেন।
আর বাকি অংশে করাতকল বসানোর কাজ শুরু করেন নিজেই। এলাকার লোকজন খেয়া ঘাটের চলাচলের রাস্তা ঘেঁষে করাতকল না বসানোর জন্য তাকে অনুরোধ করেলেও কথা রাখেননি সায়দার।
এ বিষয়ে অভিযুক্ত সায়দার আলী করাতকল বসানোর কথা স্বীকার করে বলেন, জায়গাটির কাগজপত্র রয়েছে। তাছাড়া বাপ-দাদার আমল থেকেই জায়গাটি তাদের দখলে রয়েছে।
স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) সদস্য মনিরুজ্জামান মনির বলেন, ওই জায়গাটি পানি উন্নয়ন বোর্ডের। বিষয়টি শোনার পর ইউপি চেয়ারম্যানের সঙ্গে কথা বলে সায়দার আলীকে কাজ বন্ধ রাখার জন্য বলা হয়েছে।
এ বিষয়ে পানি উন্নয়ন বোর্ড (পাউবোর) পাবনা অফিসের উপ-সহকারী প্রকৌশলী আলামিন হোসেন বলেন, বিষয়টি তাদের জানা নেই। তবে সরকারি সম্পত্তি দখল করে স্থাপনা নির্মাণের কোনো সুযোগ নেই। অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদসহ নির্মাণাধীন ভবন অপসারণের ব্যবস্থা করা হবে।