ভারতে সরকার গঠনের চাবি এই দু’জনের হাতে!
তারা দুজনই এনডিএ শরিক। কিন্তু দিল্লিতে সরকার গঠনের চাবিকাঠি আপাতত নীতীশ কুমার ও চন্দ্রবাবু নাইডুর হাতে।
ফলে এ দুজনের সমর্থন যেদিকে যাবে, তারাই দিল্লিতে সরকার গঠনের পথে অনেকটা এগিয়ে যাবে তা স্পষ্ট।
সূত্রের খবর, ইন্ডিয়া জোট সংখ্যাগরিষ্ঠতার কাছাকাছি যেতেই নীতীশ কুমার ও চন্দ্রবাবু নাইডুর সঙ্গে যোগাযোগ শুরু করা হয়েছে ইন্ডিয়া জোটের পক্ষ থেকে।
ইন্ডিয়া জোটের পক্ষে এ দুই নেতাকে বোঝানোর দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে এনসিপি নেতা শরদ পাওয়াকে। সূত্রের খবর, ইতোমধ্যে নাইডু ও নীতীশের সঙ্গে যোগাযোগ করেছেন পাওয়ার।
অন্যদিকে সরকার গঠনের জন্য নীতীশ ও নাইডুর ভূমিকা এখন কতটা গুরুত্বপূর্ণ, তা বুঝতে পেরে তৎপর হয়েছে বিজেপি শীর্ষ নেতৃত্বও। সূত্রের খবর, এদিন টিডিপি প্রধান চন্দ্রবাবু নাইডুকে কল করেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীও।
লোকসভা ভোটের ঠিক আগে শিবির বদল করে এনডিএ-তে ফেরেন নীতীশ। তবে জেডিইউ নেতা কখন কার দিকে বন্ধুত্বের হাত বাড়িয়ে দেন, তা আঁচ করা মুশকিল। ফলে নীতীশের পরবর্তী পদক্ষেপ নিয়ে কৌতূহল থাকছেই। ভোটের ফল প্রকাশের আগেই অবশ্য গত রোববার দিল্লিতে পৌঁছান নীতীশ। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর সঙ্গে বৈঠকও হয় তার।
নীতীশের দিল্লি যাত্রার পর থেকেই বিহারের মুখ্যমন্ত্রী পদ থেকে তার ইস্তফা দেওয়ার জল্পনাও শুরু হয়েছে। যদিও লোকসভা নির্বাচনে ইন্ডিয়া জোটের ভালো ফলের পরে নীতীশ এনডিএ জোটের পক্ষেই থাকেন কি না, সেটিই এখন বড় প্রশ্ন। জেডিইউ অবশ্য দাবি করেছে, তারা এনডিএ-তেই থাকছে।
অন্যদিকে অন্ধ্রপ্রদেশে বিধানসভা এবং লোকসভা ভোটে জোট বেঁধেই লড়েছে চন্দ্রবাবু নাইডুর টিডিপি ও বিজেপি৷ তবে নীতীশের মতোই অতীতে এনডিএর সঙ্গ ছেড়েছেন নাইডুও। তবে কিছুক্ষণ আগেই টিডিপিও জানিয়ে দিয়েছে, তারা এনডিএর সঙ্গ ছাড়ছে না।
পাওয়ার নিজে এ দিন জানান, বুধবার দিল্লিতে ইন্ডিয়া জোটের বৈঠক ডাকা হয়েছে। কংগ্রেস সভাপতি মল্লিকার্জুন খাড়গে এবং সিপিএম সাধারণ সম্পাদক সীতারাম ইয়েচুরির সঙ্গে কথা হয়েছে।
তবে চন্দ্রবাবু নাইডু ও নীতীশ কুমারের সঙ্গে তার কথা হয়েছে কি না, তা নিয়ে কিছু বলেননি পাওয়ার।