ধর্ম

ভালো মানুষের সঙ্গী হলে যে লাভ

মানুষ কখনো একা বসবাস করতে পারে না। পরিবার, সমাজ, চারপাশের পরিবেশ নিয়ে চলাফেরা করতে মানুষকে। এজন্যই মানুষকে সামাজিক জীব বলা হয়।

সমাজে চলতে গিয়ে অনেকের সঙ্গেই মানুষের সম্পর্ক গড়ে উঠে। বিভিন্ন প্রয়োজনে অন্যের পরামর্শ, সহযোগিতা বা সঙ্গ দরকার হয়। এক্ষেত্রে সৎ সঙ্গী নির্বাচন করা জরুরি। অসৎ সঙ্গী মানুষকে বিপথে পরিচালিত করে। সৎসঙ্গী সঠিক পথের দিশা দেয়।

পবিত্র কোরআনে আল্লাহ তায়ালা বলেছেন,

یٰۤاَیُّهَا الَّذِیۡنَ اٰمَنُوا اتَّقُوا اللّٰهَ وَ کُوۡنُوۡا مَعَ الصّٰدِقِیۡنَ

‘হে মুমিনগণ! তোমরা আল্লাহকে ভয় করো এবং সত্যবাদীদের সঙ্গী হও।’ (সূরা তাওবা, আয়াত : ১১৯)

সৎসঙ্গীর গুরুত্ব সম্পর্কে এক হাদিসে হজরত আবু মুসা আশআরী রাদিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন—

সৎ সঙ্গী ও অসৎ সঙ্গীর উদাহরণ হলো, কস্তুরী বহনকারী (আতর বিক্রেতা) ও হাপরে ফু দানকারী (কামারের) মতো। কস্তুরী বহনকারী (আতর বিক্রেতা) হয়তো তোমাকে কিছু দান করবে অথবা তার কাছ থেকে তুমি কিছু কিনে নেবে অথবা তার কাছ থেকে সুঘ্রাণ পাবে। আর হাপরে ফু দানকারী (কামার) হয়ত তোমার কাপড় পুড়িয়ে দেবে অথবা তুমি তার কাছ থেকে দুর্গন্ধ পাবে। (বুখারি ও মুসলিম)

আরেক হাদিসে হজরত আবু হুরায়রা রাদিয়াল্লাহু আনহু বলেন রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন, ‘কেয়ামতের দিন আল্লাহ তাআলা বলবেন, ‘আমার মর্যাদার (আনুগত্যের) কারণে পরস্পরের বন্ধুত্ব স্থাপনকারীরা আজ কোথায়? আমি তাদেরকে আজ আমার ছায়া তলে আশ্রয় দেব। যেদিন আমার ছায়া ছাড়া আর কোনো ছায়া থাকবে না।’ (মুসলিম)

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *