জাতীয়

ভিকারুননিসার সেই ১৬৯ ছাত্রীর ভর্তি বহালের দাবিতে মানববন্ধন

ভিকারুননিসা নূন স্কুল অ্যান্ড কলেজের ১৬৯ জন ছাত্রীর ভর্তি বহাল রাখার দাবিতে মানববন্ধন করেছেন শিক্ষার্থীদের অভিভাবকরা। ভর্তি বাতিলকৃত শিক্ষার্থীর সবাই ২০২৪ সালে প্রথম শ্রেণিতে ভর্তি হয়েছিল।

রোববার (১০ মার্চ) সকাল ৯টায় প্রতিষ্ঠানটির মূল শাখার সামনে এ মানববন্ধন কর্মসূচি শুরু হয়। মানববন্ধনে শিক্ষার্থী ও তাদের অভিভাবকরা বিভিন্ন প্ল্যাকার্ড হাতে দাঁড়ান।

এ সময় অভিভাবকরা বলেন, ভিকারুননিসা নূন স্কুল অ্যান্ড কলেজ এবং মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদফতরের সকল নির্দেশনা মেনে ভর্তির আবেদন করা হয়। পরে কর্তৃপক্ষ তা যাচাই-বাছাই করে ভর্তির বিষয়ে অনুমতি প্রদান করে। কিন্তু হঠাৎ করে আদালতের রায় আসে ২০১৫ ও ২০১৬ সালে জন্ম নেয়া ১৬৯ ছাত্রীর ভর্তি বাতিল করতে হবে। এ ব্যাপারে আমরা আগে থেকে কিছুই জানতাম না।

অভিভাবকরা আরও বলেন, কোনো কিছু অবহিত না করে, হঠাৎ করেই ভর্তি বাতিল করে আমাদেরকে জানানো হয়। এখন বাচ্চাদের নিয়ে কোথায় যাব? তাই আমরা চাই, ভর্তি বাতিল না করে, যেন বহাল রাখা হয়।

প্রসঙ্গত, গত ৪ মার্চ ওই ১৬৯ শিক্ষার্থীর ভর্তি বাতিল করে মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদফতরে (মাউশি) চিঠি দেয় ভিকারুননিসা নূন স্কুল অ্যান্ড কলেজে কর্তৃপক্ষ। এর আগে, ভিকারুননিসা স্কুল এন্ড কলেজের অধ্যক্ষ কেকা রায় চৌধুরীকে এ সংক্রান্ত একটি নির্দেশনা পাঠায় মাউশি।

এতে বলা হয়, ভিকারুননিসা নূন স্কুল অ্যান্ড কলেজ কর্তৃপক্ষ ২০২৪ শিক্ষাবর্ষে প্রথম শ্রেণিতে ভর্তির বয়সের ঊর্ধ্বসীমা নির্ধারণ করার পর তা অনুসরণ না করে ১ জানুয়ারি ২০১৭ সালের আগে জন্মগ্রহণকারী শিক্ষার্থীদের ভর্তি করে, যা বিধিবহির্ভূত। এছাড়া, ভিকারুননিসা নূন স্কুল অ্যান্ড কলেজে ভর্তি হওয়া ২০১৫ সালে জন্মগ্রহণকারী ১০ জন ও ২০১৬ সালে জন্মগ্রহণকারী ১৫৯ জন শিক্ষার্থীর ভর্তি বাতিল করে জরুরি ভিত্তিতে মাউশিকে অবহিত করতেও বলা হয়।

উল্লেখ্য, এর আগে ভিকারুননিসার দুজন শিক্ষার্থীর অভিভাবক হাইকোর্টে এ সংক্রান্ত একটি রিট করেন। রিটে বলা হয় ২০২৪ শিক্ষাবর্ষে প্রথম শ্রেণিতে ভর্তি হওয়া ১৫৯ জন শিক্ষার্থী ২০১৬ সালে ও ১০ জন শিক্ষার্থী ২০১৫ সালে জন্মগ্রহণ করেছিলেন। কিন্তু নীতিমালায় বলা হয়, ২০১৭ সালে জন্মগ্রহণকারীরা প্রথম শ্রেনীতে ভর্তির আবেদন করতে পারবে। এই রিটের শুনানি শেষে হাইকোর্ট আদেশ দিলে মাউশি এ সিদ্ধান্ত নেয়।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *