জাতীয়স্বাস্থ্য

ভিটামিন ‘এ’ প্লাস ক্যাম্পেইন শনিবার, পাবে ২ কোটি ২২ লাখ শিশু

জাতীয় ভিটামিন ‘এ’ প্লাস ক্যাম্পেইন অনুষ্ঠিত হবে আগামী শনিবার (১ জুন)। দিনব্যাপী এই কর্মসূচিতে ভিটামিন এ প্লাস ক্যাপসুল খাওয়ানো হবে ৬-৫৯ মাস বয়সী প্রায় দুই কোটি ২২ লক্ষ শিশুকে।

ক্যাপসুল খাওয়ার সময় শিশুদের ভরাপেটে স্বাস্থ্যকেন্দ্রে নিয়ে আসতে হবে বলে জানিয়েছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। তবে ঘূর্ণিঝড়ে ক্ষতিগ্রস্ত ও দুর্গম এলাকায় আরও চার দিন অতিরিক্ত সময় দেওয়া হয়েছে বলেও অধিদপ্তর নিশ্চিত করেছে।

বৃহস্পতিবার (৩০ মে) স্বাস্থ্য অধিদপ্তর থেকে গণমাধ্যমে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানানো হয়েছে।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ৬-১১ মাস বয়সী প্রায় ২৭ লাখ শিশুকে নীল রঙের এবং ১২-৫৯ মাস বয়সী প্রায় এক কোটি ৯৫ লাখ শিশুকে লাল রঙের ক্যাপসুল খাওয়ানো হবে। প্রায় এক লাখ ২০ হাজার কেন্দ্রে দুই লাখ ৪০ হাজার স্বেচ্ছাসেবী ও ৪০ হাজার স্বাস্থ্যকর্মীর এই ক্যাপসুল খাওয়ানোর কথা ছিল। তবে ঘূর্ণিঝড় রেমালের আঘাতে উপকূলে বেশ ক্ষয়ক্ষতি হওয়ায় এক হাজার ২২৪টি কেন্দ্র বন্ধ থাকবে। এসব কেন্দ্রে পরবর্তী সময়ে এক কর্মসূচি পালন করা হবে।

এসব প্রসঙ্গে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. আবুল বাসার মোহাম্মদ খুরশীদ আলম বলেন, আমরা বছরে দুইবার ভিটামিন এ ক্যাম্পেইন করে থাকি। প্রতিবছরই আমরা দু’রকমের ক্যাপসুল খাইয়ে থাকি। ৬-১১ মাস বয়সী শিশুদের নীল রঙের এবং ১২-৫৯ বয়সী শিশুদের লাল রঙের ক্যাপসুল খাওয়ানো হবে। তবে শিশুদের এটি খালি পেটে খাওয়ানো যাবে না। ক্যাপসুলটি কেটে চিপে শিশুর মুখে দিতে হবে। তবে শিশু বেশি কান্নাকাটি করলে কিংবা তার শ্বাসকষ্ট হলে খাওয়ানো যাবে না।

তিনি বলেন, ইতোমধ্যে উপকূলীয় জেলাগুলোতে ঘূর্ণিঝড় রেমালের আঘাতের কারণে অনেক কাজ ব্যাহত হয়েছে। সে সমস্ত জায়গায় স্থানীয় ব্যবস্থাপনায় তারা পারলে সারা দেশের সঙ্গে করবেন। তবে সম্ভব না হলে অথবা যখন পারবেন তখন করবেন তারা। এ ছাড়া সিলেটের বেশ কিছু জায়গাও বন্যা কবলিত। এ কারণে সিলেট ও সুনামগঞ্জের বেশ কিছু এলাকা হয়ত এখনই এই কর্মসূচির আওতায় নাও আসতে পারে। এর বাইরে সারা দেশে সব জায়গায় এটা চলবে।

ভিটামিন এ ক্যাপসুলের উপকারিতা জানিয়ে তিনি আরও বলেন, ভিটামিন এ খাওয়ালে শিশুর পুষ্টি বৃদ্ধি ও স্বাভাবিক বৃদ্ধি বাড়ে। এ ছাড়া, রাতকানা রোগ, কো-মরবিডিটি এবং মৃত্যুহার হ্রাস করা যায়। পাশাপাশি হাম, ডায়রিয়া ও নিউমোনিয়ার মতো রোগ কমাতেও সাহায্য করে ভিটামিন এ।

সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে আরও জানানো হয়, ভিটামিন মূলত দুই ধরনের। একটি ওয়াটার সলিউবল, অপরটি ফ্যাট সলিউবল। যেগুলো পানিতে দ্রবীভূত হয় সেগুলো ওয়াটার সলিউবল, যেমন ভিটামিন সি। আর ফ্যাট সলিউবল হচ্ছে যেগুলো চর্বিতে জমা হয়। ভিটামিন এ ফ্যাট সলিউবল। এটা অনেকদিন পর্যন্ত শিশুর শরীরে জমা হয়ে থাকবে এবং কার্যকর থাকবে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *