জাতীয়

ভিপিএন বন্ধ হলে ইন্টারনেটের গতি বাড়াবে

ফেসবুক বন্ধ থাকায় ভার্চ্যুয়াল প্রাইভেট নেটওয়ার্ক (ভিপিএন) দিয়ে ফেসবুকে প্রবেশ করায় ইন্টারনেট ও মোবাইল ধীরগতি হয়ে যায়। ফেসবুক খুলে দিয়ে ভিপিএন ব্যবহার বন্ধ হলে ইন্টারনেটের গতি বাড়বে বলে মনে করেন ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্য প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক।

বুধবার (৩১ জুলাই) বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশনে (বিটিআরসি) সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমগুলোর প্রতিনিধিদের সঙ্গে বৈঠক শেষে তিনি এ কথা জানান।

ইন্টারনেটের গতি বাড়ানোর বিষয়ে এক প্রশ্নের উত্তরে পলক বলেন, আমাদের সিদ্ধান্ত হচ্ছে, সম্পূর্ণ গতি বৃদ্ধি করা। এজন্য ভিপিএন ব্যবহার বন্ধ করা, স্থানীয় ক্যাশ সার্ভার চালু করাসহ ইন্টারনেটের গতি বাড়ানোর জন্য সর্বোচ্চ চেষ্টা চলছে।

আগের দিন মঙ্গলবার (৩০ জুলাই) চলমান সময়ের সাইবার নিরাপত্তাবিষয়ক জরুরি সভা পরবর্তী সংবাদ সম্মেলনে ইন্টারনেটের গতি কম থাকা নিয়ে পলক বলেন, আমরা ইন্টারনেটে কোনো রেস্ট্রিকশন রাখিনি, কোনো বাধা রাখিনি। আমাদের টেকনিক্যাল পারসনরা বলেছেন যে, ভিপিএন ব্যবহারের ফলে ইন্টারনেট ব্যবহার প্রায় ৫ হাজার শতাংশ বেড়েছে। যারা ভিপিএন ব্যবহার করছেন তারা অন্য দেশের নেটওয়ার্ক ব্যবহার করছেন। ফলে বিদেশে ব্যান্ডউইথের ব্যবহার বেড়ে যাচ্ছে। এটা অন্যতম কারণ ইন্টারনেট স্লো থাকার।

সহিংসতার সময় থেকে বন্ধ থাকা ফেসবুকসহ অন্যান্য সোশ্যাল মিডিয়া বিকল্প উপায়ে ভিপিএন বা ভার্চ্যুয়াল প্রাইভেট নেটওয়ার্ক ব্যবহার করা হয়।

ভিপিএন ব্যবহারে সাইবার ঝুঁকি বাড়ছে কি না, এক প্রশ্নে পলক বলেন, ভিপিএন ব্যবহারে সাইবার ঝুঁকি বাড়ছে। ভিপিএন অ্যাপ্লিকেশনগুলো আমরা ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠান যারাই ব্যবহার করি না কেন, আমাদের নিরাপত্তা বিশেষজ্ঞ পরামর্শ দিয়েছে যে ভিপিএন ব্যবহার করা মানেই হচ্ছে ডেটা ঝুঁকির মধ্যে পড়া। সাইবার নিরাপত্তা বিশেষজ্ঞ পরামর্শ দিয়েছে যেন আমরা গণমাধ্যমে ব্যক্তি, প্রতিষ্ঠান বা সরকারের সব পর্যায়ে এই বার্তা পৌঁছে দেই যে, ভার্চ্যুয়াল প্রাইভেট নেটওয়ার্ক অ্যাপ্লিকেশনগুলো ব্যবহার করা আমাদের জন্য ঝুঁকিপূর্ণ।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *