দেশজুড়ে

ভূমিসেবায় স্মার্ট নাগরিক তৈরিতে ‘ভূমির পাঠশালা’

ভূমিসেবায় স্মার্ট নাগরিক তৈরি করার প্রয়াসে দেশের মডেল হিসেবে যাত্রা শুরু করল ‘ভূমির পাঠশালা’। এটি হতে যাচ্ছে স্মার্ট ভূমি সেবার নতুন চমক।

রাজশাহীর পবা উপজেলা ভূমি অফিসের উদ্যোগে ব্যতিক্রমী এই ‘ভূমির পাঠশালা’র উদ্বোধন করা হয়েছে আজ। সেই লক্ষ্যে বৃহস্পতিবার (১৩ জুন) সকালে পবা উপজেলা ভূমি অফিস চত্বরে জনসচেতনতামূলক সভাও অনুষ্ঠিত হয়।

এর আগে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে এ উপজেলায় ‘ভূমির পাঠশালা’র উদ্বোধন করেন রাজশাহী জেলা প্রশাসক শামীম আহমেদ। এটি দেশের মধ্যে ভূমিসেবা সংক্রান্ত প্রথম কোনো পাঠশালা। এরপর জনসচেতনতামূলক সভা অনুষ্ঠিত হয়।

সভার শুরুতেই স্বাগত বক্তব্যে ‘ভূমির পাঠশালা’র লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করেন উপজেলার সহকারী কমিশনার (ভূমি) অভিজিত সরকার।

তিনি জানান, ‘ভূমির পাঠশালা’ ভূমি সেবা সপ্তাহের একটি উদ্ভাবনী এবং ব্যতিক্রমী উদ্যোগ। এর মূল্য লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য হচ্ছে নাগরিকদের ভূমি সংক্রান্ত সামগ্রিক জ্ঞান দেওয়া। আর এর মাধ্যমে তাদের ভবিষ্যত স্মার্ট নাগরিক হিসেবে গড়ে তোলা।

প্রধান অতিথির বক্তব্যে রাজশাহী জেলা প্রশাসক (ডিসি) শামীম আহমেদ বলেন,ভূমি নিয়ে মানুষের ভোগান্তি সৃষ্টির শুরু থেকেই। আর বাংলাদেশে অধিকাংশ পরিবারেই ভূমি সংক্রান্ত জটিলতা রয়েছে। অথচ এই ভূমি নিয়েই মানুষের জ্ঞানচর্চা সবচেয়ে কম। তাই ‘ভূমির পাঠশালা’ ভূমি সংক্রান্ত জটিলতা নিরসনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে।

ডিসি আরও বলেন, আগামী ২০৪১ সালের মধ্যে স্মার্ট ও উন্নত বাংলাদেশ বিনির্মাণে লক্ষ্যে ‘ভূমির পাঠশালা’র গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে। স্মার্ট বাংলাদেশ রোডম্যাপের চারটি পিলার- স্মার্ট সিটিজেন, স্মার্ট সোসাইটি, স্মার্ট ইকোনমি ও স্মার্ট গর্ভন্যান্স। এই চারটি পিলারের মধ্যে স্মার্ট নাগরিক এমন একটি পিলার যা মজবুত না হলে অন্য তিনটি পিলার হবে ভঙ্গুর, প্রকারান্তরে স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণ হবে দুরূহ ও অসম্ভব এক ব্যাপার। এজন্য স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণে প্রথম এবং প্রধান শর্ত স্মার্ট নাগরিক তৈরি করা। কারণ স্মার্ট নাগরিকের মাধ্যমেই তৈরি হবে স্মার্ট সমাজ, স্মার্ট অর্থনীতি, যা একইসঙ্গে নিশ্চিত করবে জবাবদিহিমূলক সরকার অর্থাৎ ‘স্মার্ট গর্ভন্যান্স’। আর সেই লক্ষ্য বাস্তবায়নে ভূমিবিষয়ক জ্ঞান দেওয়ার মাধ্যমে স্মার্ট নাগরিক গড়ে তুলবে ‘ভূমির পাঠশালা’।

সভায় উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) আবু সালেহ মোহাম্মদ হাসনাতে সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) সরকার অসীম কুমার।

সভা শেষে ভূমির পাঠশালায় প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত শিক্ষার্থীদের অংশগ্রহণে সেখানে ভূমিবিষয়ক কুইজ এবং বিতর্ক প্রতিযোগিতার বিজয়ীদের মাঝে পুরস্কার বিতরণ করা হয়।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *